1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিষিদ্ধ হলো ‘বুলফাইটিং’ স্পেনের ক্যাটালোনিয়ায়

২৯ জুলাই ২০১০

প্রাণীর প্রতি নৃশংসতা, নির্মমতার বিরুদ্ধেই লড়ছিলেন অধিকার কর্মীরা৷ ষাঁড়ের লড়াই তথা বুলফাইটিং-এ নিষ্ঠুরভাবে কষ্ট দিয়ে মারা হয় একেকটা তাজা প্রাণীকে৷ আর এর বিরুদ্ধেই জনমতের জয় হয়েছে ক্যাটালোনিয়ায়৷

https://p.dw.com/p/OX2G
bullfighter, bull, bullfighting, Madrid, Spain, নিষিদ্ধ, ‘বুলফাইটিং’ স্পেন, ক্যাটালোনিয়া
ফাইল ছবিছবি: AP

স্পেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বার্সেলোনা৷ এই শহরটিই ক্যাটালোনিয়া রাজ্যের রাজধানী৷ ক্যাটালান সংসদ নিষিদ্ধ ঘোষণা করল দেশটির ঐতিহ্যবাহী ষাঁড়ের লড়াই তথা বুলফাইটিং৷ ২০১২ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে নিষিদ্ধ হলো ষাঁড় আর মানুষের এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ৷ বুধবার ক্যাটালান সংসদে উত্থাপিত এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ৬৮টি৷ বিপক্ষে ছিলেন ৫৫ জন সাংসদ৷ কোন পক্ষেই ভোট দেননি নয়জন৷

ষাঁড়ের লড়াই এর ইতিহাস আর ঐতিহ্য অতি পুরনো৷ সেই ৭১১ সালে প্রথম অনুষ্ঠিত হয় বুলফাইটিং৷ সেটি ছিল রাজা অষ্টম আলফনসোর অভিষেক উপলক্ষ্যে আয়োজিত৷ সেই থেকেই শত শত বছর ধরে চলে আসছে ষাঁড়ের লড়াই৷ বিখ্যাত আঁকিয়ে পাবলো পিকাসো, নোবেল বিজয়ী লেখক আর্নেস্ট হেমিংওয়ে এবং কবি ফেডেরিকো গার্সিয়ো লোর্কার কাজের মধ্যে রয়েছে বুলফাইটিং-এর ছোঁয়া৷ অন্যদিকে, বুলফাইটিং-এর নৃশংসতা বেশ নাড়া দিয়েছে মার্ক টোয়েন থেকে শুরু করে হান্স ক্রিস্টিয়ান অ্যান্ডার্সেনের মতো শিল্পী-সাহিত্যিকদের৷

তবে ষাঁড় এবং মানুষের এই ভয়ঙ্কর লড়াইয়ের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করছেন অধিকার কর্মীরা৷ ইতিমধ্যে সফলতাও পেয়েছেন তাঁরা৷ ১৯৯১ সালে প্রথম ষাঁড়ের লড়াই নিষিদ্ধ হয় ক্যানারি দ্বীপে৷ আর বুলফাইটিং নিষিদ্ধ করার পক্ষে এক লাখ আশি হাজার ক্যাটালান নাগরিকের স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছিলেন অধিকার কর্মীরা৷ ফলে বিষয়টির উপর সংসদে ভোটাভুটি হলো বুধবার৷ বুলফাইট নিষিদ্ধ হলো ক্যাটালোনিয়ায়৷ বুলফাইটিং বিরোধীদের আশা, অন্যান্য অঞ্চলও একই পদক্ষেপ নিতে এগিয়ে আসবে৷

অবশ্য ক্যাটালোনিয়ার এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে পক্ষে-বিপক্ষে চলছে বেশ বিতর্ক৷ অনেকেই এটিকে দেখছেন একটি শিল্পের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হিসেবে৷ স্পেনের শীর্ষ বুলফাইটার এনরিক পন্স বলেন, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তারা আমাদের দেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং ইতিহাসের উপর আঘাত হেনেছে৷ এমনকি এই সিদ্ধান্তকে ক্যাটালানদের ‘জাতীয়তাবাদী পদক্ষেপ, উস্কানি এবং প্রতিশোধ' বলে মন্তব্য করেন ইউরোপীয় সংসদে স্প্যানিশ সদস্য জেইমি মেয়র ওরেজা৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা