নিষিদ্ধ জিনিসে মানুষের কৌতূহল বেশি | পাঠক ভাবনা | DW | 18.03.2014
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

নিষিদ্ধ জিনিসে মানুষের কৌতূহল বেশি

কোনো কিছু নিষিদ্ধ করলে মানুষের স্বাভাবিক কৌতূহল আরো বেড়ে যায়৷ জামায়াতে ইসলামী দলকে সরকার তার ক্ষমতাবলে নিষিদ্ধ করতে পারে, কিন্তু জামাতের সমর্থকদের (ভোটার) সরকার কী করে নিষিদ্ধ করবে? প্রশ্ন নবী নেওয়াজের৷

নবী নেওয়াজ আরো লিখেছেন, ‘‘জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে বর্তমান রাজনীতির অঙ্গনে তৃতীয় বৃহৎ শক্তি, উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল তাই বলে এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার কাউন্সিলের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনের ফলাফলও তাই বলে৷ বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক-রাজনীতির অঙ্গনে জামায়াতের সমর্থক ও তার প্রভাব অনস্বীকার্য্য! ...''

- বন্ধু, এ বিষয়ে ডিডাব্লিউ-র সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনের কিছু অংশ তুলে দিলাম:

সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘‘ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো নিষিদ্ধের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই৷ তবে যুদ্ধাপরাধের দায়ে চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যেই সরকার জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পরিকল্পনা করছে৷'' অন্যদিকে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী সভাপতি শাহরিয়ার কবির জানান, ‘‘যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জামায়াত নিষিদ্ধ হবে কিনা, তা মন্ত্রী বলতে পারেন না৷

এটা মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিষয়৷ তাদের রায়ের ওপরই আসলে নির্ভর করছে জামায়াত যুদ্ধাপরাধের দায়ে নিষিদ্ধ হবে কিনা – সেই প্রশ্ন৷''

পরের ই-মেলটি লিখেছেন দেওয়ান কামরুল হাসান রথি৷ লিখেছেন, ‘‘প্রিয় অ্যাডমিন, ধর্ষণ সম্পর্কে লেখাটি খুব ভালো লাগলো৷ তারপরও একটা জিনিস ভীতির উদ্রেক করে৷ দিল্লির বিচারে আসামীদের ফাঁসির সাজা হওয়ার পরও কিন্তু ইন্ডিয়ার অনেক জায়গাতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে এবং এখনো অহরহ ঘটে চলছে৷ এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কি? ভারতের সরকার কি এ সব বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে? আর কত মেয়ে এভাবে ধর্ষণের স্বীকার হবে? কিছুদিন আগে একটা রিপোর্টে পড়লাম, বিদেশিরাও নাকি এখন ধর্ষণের স্বীকার হন? ভারতের রাজস্ব আয়ের অনেকটাই পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল৷ এভাবে চলতে থাকলে ভারতে আর পর্যটকরা আসবে না৷''

সবশেষে তিনি নিজের লেখা একটা কবিতা দিয়ে শেষ করছেন৷ কবিতাটা এরকম:

ধর্ষণকারী ও ধর্ষিতা

একজন ধর্ষণকারী
চরম উত্তেজিত
ক্লান্ত
অবশেষে
খুব আনন্দিত ৷

আর ধর্ষিতা
নগ্ন
শরীরে পশুর আঁচর
ঠোঁট রক্তাত্ত
বাকরুদ্ধ
শব্দহীন
বোবা কান্না
শুকনো চোখের জল
লজ্জিত
শঙ্কিত
গ্লানি
বিচারহীন৷

- কবিতাটি সুন্দর হয়েছে৷ লেখার জন্য ধন্যবাদ৷ অন্য বন্ধুরাও লিখবেন, কেমন? সবার জন্য রইলো অনেক অনেক শুভেচ্ছা৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

নির্বাচিত প্রতিবেদন