1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংসদে ম্যার্কেলের শেষ ভাষণ!

১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ম্যার্কেল তাঁর চূড়ান্ত ‘স্টেট অফ দ্য নেশন' ভাষণে মধ্যমপন্থা ও ঐকমত্যের ওপর জোর দিলেন, প্রশংসা করলেন ‘বৃহৎ জোট' সরকারের৷ এসপিডি কিন্তু আগের মতোই মুখগোমড়া৷

https://p.dw.com/p/2jZoo
Berlin Bundestagssitzung Außenminister Gabriel Kanzlerin Merkel
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Kappeler

মাত্র দু'দিন আগে ম্যার্কেল তাঁর একমাত্র টেলিভিশন বিতর্কে প্রতিপক্ষ মার্টিন শুলৎসকে পর্যুদস্ত করেছেন৷ চলতি কর্মকালে জার্মান সংসদের শেষ অধিবেশনে ম্যার্কেল কিন্তু শুরু করলেন অর্থনীতি দিয়ে৷ বললেন, বর্তমানে কর্মসংস্থান সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে; জার্মানি আজ সারা ইউরোপের ঈর্ষার পাত্র৷ ডিজেলগেট কেলেংকারির পরিপ্রেক্ষিতে ম্যার্কেল জানালেন যে, সরকার একদিকে যেমন নিয়ন্ত্রণ বাড়াবেন, অপরদিকে তেমন বৈদ্যুতিক গাড়ির চল বাড়ানোর চেষ্টা করবেন – তবে ডিজেল মোটর নিষিদ্ধ করার কোনো প্রশ্ন উঠবে না৷

প্রযুক্তির ক্ষেত্রে জার্মানির আরো বেশি উদ্ভাবনপ্রয়াসী হয়ে ওঠা প্রয়োজন, বললেন ম্যার্কেল – অতীতে জার্মানি যেরকম এমপি-থ্রি প্লেয়ার বাজারে এনেছে৷ ‘‘আমরা প্রযুক্তির সংগ্রহশালায় পড়ে থাকতে চাই না, আমরা পথিকৃৎ হতে চাই'', বললেন ম্যার্কেল৷

আন্তর্জাতিক প্রসঙ্গ

উত্তর কোরিয়া সমস্যার শুধুমাত্র ‘‘শান্তিপূর্ণ, সংলাপভিত্তিক সমাধান'' সম্ভব, বলে ম্যার্কেল মনে করেন৷ তবে তিনি বিশ্বের অপরাপর নেতৃবর্গের সঙ্গে উত্তরোত্তর অর্থনৈতিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলতে প্রস্তুত৷

ম্যার্কেল তুরস্কের বিরুদ্ধে তাঁর সমালোচনার পুনরাবৃত্তি করে বলেন যে, দেশটি ‘‘আইনের শাসন থেকে ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছে৷'' তিনি পুনরায় আংকারার প্রতি অবৈধভাবে ধৃত জার্মান নাগরিকদের মুক্তি দেবার দাবি জানান ও বলেন যে, তুরস্কের ইইউ-তে যোগদান সংক্রান্ত আলাপ-আলোচনা মুলতুবি রাখা অথবা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া সম্বন্ধে তিনি তাঁর ইইউ সতীর্থদের সঙ্গে শলাপরামর্শ করবেন৷

উদ্বাস্তু প্রসঙ্গে ম্যার্কেল উত্তর আফ্রিকার দেশগুলির সঙ্গে সহযোগিতার প্রচেষ্টা করবেন বলে জানান, যদিও ‘‘আমাদের এখনও ওদের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে হবে৷'' অপরদিকে ‘‘জার্মান সংসদে সিদ্ধান্ত নিয়েই যে আমরা দুনিয়া বদলে দিতে পারব, এমনটা ভাবার কোনো অর্থ হয় না৷''

আঙ্গেলা ম্যার্কেল: চতুর্থবার জার্মান চ্যান্সেলর?

ছোট তরফ সুখি নয়

ম্যার্কেলের তথাকথিত ‘গ্র্যান্ড কোয়েলিশন'-এর যে (এযাত্রা) অন্ত ঘটতে চলেছে, তার লক্ষণ স্পষ্ট৷ ম্যার্কেলের ভাষণ চলাকালীন এসপিডি সাংসদরা বারংবার সোচ্চার দাবি তোলেন যে, সরকারের কৃতিত্বের অনেকটাই সামাজিক গণতন্ত্রীদের প্রাপ্য৷ ম্যার্কেলের স্নেহময়ী মাতৃসুলভ প্রতিক্রিয়া: ‘‘আমি জানি না, আপনারা কেন এটা করছেন৷ আমরা দু'পক্ষ মিলে যা করতে পেরেছি, সেজন্য আপনাদের সুখি হওয়া উচিত৷ চলুন আমরা এই জোটের কৃতি উদযাপন করি, যা বহুক্ষেত্রেই সফল হতে পেরেছে৷''

আক্রমণাত্মক এসিপিডি

সামাজিক গণতন্ত্রীদের সংদীয় গোষ্ঠীর নেতা টোমাস ওপ্যারমান একদিকে ন্যূনতম মজুরি, অন্যদিকে বড় বড় কোম্পানির পরিচালকমণ্ডলীতে মহিলাদের কোটা চালু করার কৃতিত্ব পুরোপুরি তাঁর দলের জন্য দাবি করেন৷ সামাজিক গণতন্ত্রীরা পেনশনভোগী ও মহিলাদের জন্য আরো অনেক কিছু করবে, বলে ওপ্যারমান ঘোষণা করেন৷ ওপ্যারমান ম্যার্কেলের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘দেশের এমন একজন চ্যান্সেলর দরকার, যিনি সামাজিক গণতন্ত্রী আদর্শে কাজ করবেন৷ আমি আপনার মধ্যে সে ধরণের সাহস দেখি না৷''

Deutschland Bundestagswahl 2017 - SPD - Martin Schulz
ছবি: Getty Images/M. Hitij

ওপ্যারমান বিদেশনীতির বিষয়টি বাদ রাখেন, কেননা গত চার বছর ধরে জোট সরকারের পররাষ্ট্র দপ্তর ছিল সামাজিক গণতন্ত্রীদের হাতে৷

গাব্রিয়েল বনাম ম্যার্কেল

জোট সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ম্যার্কেলের ডেপুটি চ্যান্সেলর সিগমার গাব্রিয়েল গোড়ায় ম্যার্কেলকে তাঁর ‘‘ন্যায্য'' সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানালেও, পরে দাবি করেন যে, এসপিডি-র সহযোগিতা ছাড়া ম্যার্কেল অনেক ক্ষেত্রে তাঁর অবস্থান নিতে পারতেন না, কেননা তাঁর নিজের রক্ষণশীল দলের একাংশ সেই অবস্থানের বিরুদ্ধে যেত৷

গাব্রিয়েলের মতে বিদায়ী জোট সরকারের একটি বড় সাফল্য হলো, উদ্বাস্তু সংকট, ব্রেক্সিট ও ট্রাম্পের নির্বাচনের মতো ঝড়ঝাপটা সত্ত্বেও জার্মানি ‘‘তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল'' থাকতে পেরেছে৷

জেফারসন চেজ/এসি

জার্মান নির্বাচন ও সরকার গঠনের প্রক্রিয়া

জার্মানিতে কেমন সরকার দেখতে চান? লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য