নিরাপত্তা পরিষদে কাজ শুরু করলো জার্মানি
৬ জানুয়ারি ২০১১বাকি দেশগুলো হলো ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, পর্তুগাল ও কলম্বিয়া৷ দুই বছরের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত হয়েছে এই পাঁচটি দেশ৷ আর ছয় বছর পর জার্মানি আবার সদস্য নির্বাচিত হলো৷
জার্মানির লক্ষ্য অবশ্য স্থায়ী সদস্যপদের দিকে, যেটা জাতিসংঘের জন্মলগ্ন থেকে পাঁচটি দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে৷ এগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, চীন ও ফ্রান্স৷ চীনকে বাদ দিলে সবাই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জয়ী হওয়া রাষ্ট্র৷
জার্মানি স্থায়ী সদস্য হতে পারবে কী না সেটা ভবিষ্যতেই দেখা যাবে৷ অস্থায়ী সদস্য হিসেবে এই দুবছরে জার্মানির উদ্দেশ্য থাকবে সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া৷ তবে জার্মানির সঙ্গে অস্থায়ী সদস্য হিসেবে যোগ দেয়া ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাও স্থায়ী পদ পেতে আগ্রহী৷
এদিকে, নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হয়ে কী অর্জন করতে হবে সে ব্যাপারে জার্মানির পরিষ্কার ধারণা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে৷ তিনি বলেন, সদস্য হিসেবে জার্মানি বিশ্বস্ততা ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবে৷
ভেস্টারভেলে বলেন, এবছর আফগানিস্তানের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেশটির প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের হাতে তুলে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে৷ যেটা এবছরের একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷ এছাড়া বছর শেষে জার্মান সৈন্য সংখ্যা কমিয়ে আনারও পরিকল্পনা রয়েছে জার্মানির৷ কিন্তু এর আগে প্রয়োজন আফগানিস্তানে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা৷ এজন্য নিরাপত্তা পরিষদকে যথেষ্ট কাজ করতে হবে৷ এবং জার্মানি এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানান জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক