নিপা ভাইরাসের ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি
৫ ফেব্রুয়ারি ২০১১বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাদুড় ও শুকরের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকতে হবে৷ রোগীকে চিকিৎসা করাতে হবে আলাদা জায়গায় রেখে৷
স্বাস্থ্যমন্ত্রী রহুল হক জানান, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা ছাড়া দেশের আর কোথাও এখনো নিপা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি৷ এই ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য সারা দেশের সিভিল সার্জন অফিসকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে৷
রোগতত্ত্ব এবং গবেষণা ইনষ্টিটিউটের প্রধান অধ্যাপক ডা. মাহমুদুর রহমান জানিয়েছেন, প্রধানত বাদুড় ছাড়াও শুকর থেকে এই ভাইরাস ছড়ায়৷ তিনি বাদুড়ের খাওয়া খাবার, ফল ও এই সময় শীতকালে খেজুরের রস না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন৷ আর বাদুড়ের আবাসস্থলও এড়িয়ে চলতে বলেছেন৷
তিনি বলেছেন, প্রচন্ড জ্বর, মাথাব্যথা ও খিঁচুনি নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ৷ এই সব লক্ষণ দেখা দিলে রোগীকে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিতে হবে এবং আলাদা রেখে সাবধানতার সঙ্গে চিকিৎসা করতে হবে৷ শুশ্রূষাকারী ছাড়া আর কেউ যেন রোগীর সংস্পর্শে না যায়৷
নিপা ভাইরাসকে ডেডলি ভাইরাস বলা হলেও রোগতত্ত্ব এবং গবেষণা ইনষ্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এম মোশতাক হোসেন আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন৷ তিনি বলেছেন, সতর্কতাই এই ভাইরাস খেকে বাঁচার প্রধান উপায়৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক