1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নারী সাংসদ বেড়েছে

১৩ মার্চ ২০১৪

আরব বিশ্বেও সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধির হার চোখে পড়ার মতো৷ অনেক দেশের দিকে তাকালেই মনে হবে, রাজনীতিতে নারীর আসন বেশ পাকা হয়েছে৷ কিন্তু বিশ্লেষকরা মনে করেন, প্রকৃত অর্থে বৈষম্য দূর হতে এখনো অনেক বাকি৷

https://p.dw.com/p/1BOZe
Bildergalerie Mächtigste Managerinnen 10 Gail Kelly
ছবি: Getty Images

ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন বা আন্তঃসংসদীয় ইউনিয়ন এবং ‘ইউএন উইমেন' নামের দুটি সংস্থা বিশ্বের সব দেশের সংসদের বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে একটা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷ প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে সংসদে শতকরা ২১ দশমিক ৮ ভাগ নারী প্রতিনিধিত্ব রয়েছে৷ গত বছর ছিল ২০ দশমিক ৩ ভাগ৷ ১৯৯৫ সালে সংসদে নারী সাংসদ ছিল তার অর্ধেকেরও কম৷ বিস্ময়কর অগ্রগতি! অথচ ইউএন উইমেন-এর সহকারি নির্বাহী পরিচালক জন হেন্ড্রা মনে করেন, পরিসংখ্যানে অগ্রগতির লক্ষণ দেখা গেলেও রাজনীতিতে নারী-পুরুষ বৈষম্য খুব একটা কমেনি৷

মঙ্গলবার প্রকাশিত ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন এবং ইউএন উইমেন-এর যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা এ প্রতিবেদনে বলা হয়, আগের তুলনায় নারী মন্ত্রীও বাড়ছে৷ ২০০৮ সালে বিশ্বের মোট মন্ত্রীর শতকরা ১৬ দশমিক ১ ভাগ ছিল নারী, এখন তা বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ১ ভাগ৷ আফ্রিকা এবং অ্যামেরিকা মহাদেশের সব দেশেই অন্তত একজন নারী মন্ত্রী রয়েছেন৷ তবে সৌদি আরব, লেবানন, পাকিস্তান, ব্রুনেই, স্যান ম্যারিনো, বসনিয়া, সলোমন আইল্যান্ডসের চিত্রটা সম্পূর্ণ বিপরীত৷ এ সব দেশে এ মুহূর্তে একজনও নারী মন্ত্রী নেই৷

তবে সংসদে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর বিষয়ে সব অঞ্চলেই কিছু না কিছু উন্নতি হয়েছে৷ সর্বোচ্চ ২৫ দশমিক ২ ভাগ নারী সাংসদ আছেন অ্যামেরিকায়৷ আরব বিশ্বে আগের ১৩ দশমিক ২ বেড়ে হয়েছে শতকরা ১৬ ভাগ৷ আফ্রিকা এবং ইউরোপেও উন্নতির ধারা বহমান৷ এই দুই মহাদেশে আগে ছিল ২২ দশমিক ৫ ভাগ, এখন হয়েছে ২৪ দশমিক ৬ ভাগ৷ এশিয়া অঞ্চলে সংসদে নারীর অংশগ্রহণও উল্লেখ করার মতো – ১৮ দশমিক ৪ ভাগ৷

পরিসংখ্যানে উন্নতির লক্ষণ দেখার পরও জন হেন্ড্রা মনে করেন, সংসদে অংশগ্রহণ বাড়লেও বিশ্বজুড়ে নারীর প্রতি দৃষ্টভঙ্গিতে খুব বেশি পরিবর্তন আসেনি৷ তাঁর মতে, নারীদের প্রত্যক্ষ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ এবং নির্বাচনে জয়ের হার না বাড়া পর্যন্ত অবস্থার উন্নতি নিয়ে আশাবাদী হওয়া ঠিক হবে না৷ তাঁর মতে, ‘‘রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে লিঙ্গবৈষম্য দূর করতে হলে নারীরা নির্বাচনে অংশ নিতে গেলে যে যে সমস্যার মুখোমুখি হন, সেগুলো দূর করতে হবে৷ বাধাগুলোর মধ্যে লিঙ্গবৈষম্য, নারীকে পুরুষের তুলণায় অক্ষম এবং নেত্রীত্বদান, দুর্নীতি হ্রাস এবং ভোট ক্রয়ে অপারগ মনে করার সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং রাজনৈতিক দল এবং প্রচার মাধ্যমের অপ্রতুল সমর্থনও রয়েছে৷'' ইউএন উইমেন-এর সহকারী নির্বাহি পরিচালকের মতে, এ সব বিষয়ে পরিবর্তন না এলে পরিসংখ্যানে উন্নতি হবে, বাস্তবে নয়৷

এসিবি/ডিজি (রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য