1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতার ভাই ‘খুন’

১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

দক্ষিণ কোরিয়ার গুপ্তচর সংস্থার সন্দেহ, উত্তর কোরিয়ার দুই নারী এজেন্ট সেদেশের শীর্ষ নেতা কিম জং-উনের সৎভাই কিম জং-নাম-কে মালয়েশিয়ায় হত্যা করেছে৷ বুধবার সউলের আইন প্রণেতারা গণমাধ্যমকে এ কথা জানান৷

https://p.dw.com/p/2Xadl
Mutmaßlich Kim Jong Nam, Bruder von Nordkoreas Diktator Kim Jong Un
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Isuo Inouye

বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর, মালয়েশিয়ায় খুন হয়েছেন কিম জং উন এর সৎ ভাই৷ যুক্তরাষ্ট্র সরকারের একটি সূত্রের দাবি, উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দা বা গুপ্তচরেরাই গত সোমবার কিম জং-নামকে বিষপ্রয়োগ করে হত্যা করেছে৷

মালয়েশিয়ার পুলিশ বলছে, নিহত ব্যক্তির কাছে থাকা পাসপোর্টে তাঁর নাম লেখা আছে কিম-চল এবং তাঁর বয়স ৪৬৷ পুলিশ অবশ্য বলেছে, এর আগে ভ্রমণের জাল কাগজপত্র থাকার কারণে আটকও হয়েছিলেন কিম জং-নাম৷

দক্ষিণ কোরিয়ার টিভি চ্যানেল ‘চোসান' দাবি করেছে, দু'জন নারী কিমকে সুই দিয়ে বিষপ্রয়োগ করে ট্যাক্সিতে করে পালিয়ে যান৷ যুক্তরাষ্ট্রের একটি সরকারি সূত্র বলেছে যে, তাঁরা মনে করেন, উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দারাই এ ‘হত্যাকাণ্ড' ঘটিয়েছে৷ একজন সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, নাম-এর জীবন ঝুঁকিতে ছিল বলে মনে করত যুক্তরাষ্ট্র৷

দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা বলছে, কিম জং নামকে বিষপ্রয়োগে হত্যা করা হয়েছে৷ তারা জানিয়েছে, ২০১২ সালেও তাকে হত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছিল উত্তর কোরিয়ার এজেন্টরা৷ 

সোমবার মালয়েশিয়া বিমানবন্দরের টার্মিনালে ম্যাকাও-এর ফ্লাইট ধরার অপেক্ষায় ছিলেন কিম জং নাম৷ মালয়েশিয়ার পুলিশ কর্মকর্তা ফাদজিল আহমাত বলেছেন, গত সোমবার ম্যাকাও যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন কিম৷ সেখানে হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি৷ হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়৷

দক্ষিণ কোরিয়ার গুপ্তচর সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ম্যাকাওয়ে জং নাম- এর দ্বিতীয় স্ত্রী রয়েছেন৷ তাঁর কাছেই যাচ্ছিলেন নাম৷ এছাড়া বেইজিংয়ে তাঁর প্রথম স্ত্রী ও পুত্র সন্তান রয়েছে৷ জং নাম প্রয়াত উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং ইল-এর জ্যেষ্ঠ পুত্র৷ তিনি কমিউনিস্ট দেশটিতে বংশানুক্রমিকভাবে নেতা নির্বাচনের যে চল রয়েছে, প্রকাশ্যেই তার কঠোর সমালোচনা করতেন৷ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী এবং ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হোয়াং কিয়ো আন এক নিরাপত্তা বৈঠকে বলেন, কিম জং নামকে উত্তর কোরিয়া হত্যা করেছে, এটা প্রমাণ হলে জং উন কতটা নৃশংস এবং তাঁর দেশে কী ধরনের অমানবিক অবস্থা বিরাজ করছে তা আরো স্পষ্ট হবে৷

জং নাম বরাবরই দেশের বাইরে অবস্থান করতেন৷ বেইজিং, ম্যাকাও এবং হংকংয়েই বেশি থাকতেন তিনি৷ তাঁকে হাসপাতালে নেয়া হলে উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তারা সেখানে আসেন৷ ধারণা করা হচ্ছে ম্যাকাওয়ে জং নামের পরিবারের হাতে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে৷

মালয়েশিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভির ফুটেজ থেকে তারা বিমান বন্দরে দুই নারীকে দেখতে পেয়েছেন৷ তারা উত্তর কোরিয়ার এজেন্ট বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ তবে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এখনো জং নাম-এর মৃত্যুর খবরটি প্রচার করা হয়নি৷

এপিবি/এসিবি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য