1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নারীর জন্য সৃষ্টি হয়েছে যেসব হ্যাশট্যাগ

আরাফাতুল ইসলাম৭ মার্চ ২০১৬

নারীর সমঅধিকার নিশ্চিতে বিভিন্ন ধরনের অনলাইন কর্মসূচি সাম্প্রতিক সময়ে বেশ সাড়া জাগিয়েছে৷ হ্যাশট্যাগ নির্ভর সেরকম কিছু উদ্যোগের কথা থাকছে এখানে৷

https://p.dw.com/p/1I8TE
Gruppenvergewaltigung schockiert Indien
ছবি: dapd

সুনির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে আলোচনা এবং সেসম্পর্কে সাধারণ মানুষের মতামত নেয়ার কিংবা তাদের আলোচনায় অন্তর্ভূক্ত করার এক চমৎকার উপায় হ্যাশট্যাগ৷ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বিশেষ করে টুইটার এবং ইন্সটাগ্রামে হ্যাশট্যাগের ব্যবহার ব্যাপক৷ নারীর সমঅধিকারসহ বিভিন্ন ইস্যুর ভিত্তিতে সৃষ্টি কিছু হ্যাশট্যাগ মাঝেমাঝেই চসমক সৃষ্টি করে ইন্টারনেট দুনিয়ায়৷ সেরকম দশটি হ্যাশট্যাগের কথা থাকছে এখানে:

#হিফরসি

এই হ্যাশট্যাগটি জনপ্রিয় করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন হলিউড অভিনেত্রী এমা ওয়াটসন৷ #হিফরসি প্রচারণার উদ্দেশ্য হচ্ছে লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করতে পুরুষকে আরো সক্রিয় করা৷ এমা জাতিসংঘে দেয়া এক বক্তব্যে উল্লেখ করেছিলেন, নারীর অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে অনেক সময় পুরুষবিদ্বেষী আন্দোলন ভেবে ভুল করা হয়৷ অনেক পুরুষ এমনটা মনে করেন, বলেও জানান তিনি৷ তাই নারীর অধিকার আদায়ের পথে পুরুষের আরো সহায়তার লক্ষ্য চলছে #হিফরসি প্রচারণা৷

#ইক্যুয়ালপে

নারী এবং পুরুষের মধ্যকার বেতনের বৈষম্য নারী অধিকার আদায়ে সোচ্চারদের কাছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এক ইস্যু৷ পশ্চিমা দেশগুলোতেও এই ব্যবধান এখনো রয়ে গেছে৷ দেখা যাচ্ছে, একই রকম চাকুরি করে একজন নারী তাঁর পুরুষ সহকর্মীর চেয়ে কম বেতন পাচ্ছেন৷ আর এই বৈষম্যের দিকে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণে সৃষ্টি করে #ইক্যুয়ালপে হ্যাশট্যাগ৷

#গার্লসকাউন্ট

মেয়েদের জন্মনিবন্ধন নিশ্চিতের লক্ষ্যে তৈরি হয়েছে #গার্লসকাউন্ট হ্যাশট্যাগটি৷ বিশ্বের অনেকে সমাজে এখনো মেয়েদের জন্ম নিবন্ধন করা হচ্ছে না, ফলে সমাজে তাদের আক্ষরিক অর্থে কোনো অস্তিত্ব থাকছে না৷ এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গোটা বিশ্বে পাঁচ বছরের কম বয়সি ২৩০ মিলিয়ন মেয়ে শিশুর জন্ম এখনো নিবন্ধন করা হয়নি৷ এই বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করছে #গার্লসকাউন্ট হ্যাশট্যাগ৷

#গার্লসচার্জ

গোটা বিশ্বে মেয়েদের শিক্ষা গ্রহণের প্রক্রিয়া নিরাপদ করার লক্ষ্যে নেয়া উদ্যোগের হ্যাশট্যাগ এটি৷ মার্কিন রাজনীতিবিদ হিলারি ক্লিন্টন এই প্রকল্প শুরু করেছেন ‘ক্লিন্টন গ্লোবাল ইনেশিয়েটিভ' এর আওতায়৷ বিশ্বের প্রায় এক কোটি পঞ্চাশ লাখ মেয়ের জন্য নিরাপদে শিক্ষা নিশ্চিত করতে পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের আওতায় খরচ করা হচ্ছে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মতো৷ হিলারি এবং তাঁর কন্যা চেলসিসহ আরো অনেকে যুক্ত আছেন গার্লসচার্জ উদ্যোগের সঙ্গে৷

#অলইনফরহার

নারী এবং মেয়েদের এগিয়ে নিতে যারা সহায়তা করছেন তাদের আর্থিক এবং অন্যান্য সহায়তা দিতে গড়ে ওঠা উদ্যোগের হ্যাশট্যাগ এটি৷ বিশ্বের নামি-দামি বিভিন্ন ব্যক্তিত্ব, প্রতিষ্ঠান এই উদ্যোগের সঙ্গে রয়েছে৷

#ফ্রিদ্যনিপল

পুরুষের মতো নারীরাও শরীরের ঊর্দ্ধাঙ্গ অনাবৃত্ত রেখে ঘুরতে চান৷ আর সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শেয়ার করার স্বাধীনতাও চান তারা৷ এই দাবি থেকেই সৃষ্টি ‘ফ্রি দ্য নিপল' হ্যাশট্যাগ৷ এখানে বলা প্রয়োজন, নারীর স্তনবৃন্ত দেখা যাচ্ছে এমন ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে৷ ফেসবুক, টুইটার বা ইন্সটাগ্রাম এ রকম ছবি অধিকাংশক্ষেত্রে মুছে ফেলে৷ #ফ্রিদ্যনিপল আন্দোলনের পক্ষে যারা, তারা একে নারীর স্বাধীনতার উপর এক ধরনের সেন্সরশিপ হিসেবে দেখছেন৷ ২০১৪ সালে চালু হওয়া এই হ্যাশট্যাগটি এখনও নিয়মিত ব্যবহার হচ্ছে৷

#ফ্যাটকিনি

বিকিনি দেহের নামে বিভিন্ন অন্তর্বাস প্রস্তুতকারী ব্র্যান্ড নারী দেহের যে গড়নকে মানদণ্ড হিসেবে দেখাচ্ছে তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের হ্যাশট্যাগ #ফ্যাটকিনি৷ এই হ্যাশট্যাগের মাধ্যমে বিভিন্ন গড়নের নারীরা তাদের বিকিনি ছবি শেয়ার করছেন, উদ্দেশ্য হচ্ছে এটা বোঝানো যে, যে কোনো দেহই বিকিনি দেহ হতে পারে৷ ফলে দেহের গড়ন নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগার কোনো কারণ নেই৷

#শাউটিংব্যাক

মূলত হয়রানির শিকার নারীদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে হ্যাশট্যাগটি চালু করে ‘দ্য এভরিডে সেক্সিজম প্রজেক্ট'৷ শুরুর পর প্রথম পাঁচ দিনে সাড়ে তিন হাজারবারের বেশি ব্যবহার হয়েছে হ্যাশট্যাগটি৷ যৌন হয়রানির ব্যাপকতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া গেছে হ্যাশট্যাগটির মাধ্যমে৷

#এফবিরেইপ

নারীর প্রতি সহিংসতামূলক কন্টেন্ট দ্রুত সরিয়ে নিতে ফেসবুকের উপর চাপ প্রয়োগের লক্ষ্যে কয়েক বছর আগে চালু হয় #এফবিরেইপ হ্যাশট্যাগটি৷ মূলত ফেসবুকে বিজ্ঞাপনদাতাদের লক্ষ্য করে চালানো এই হ্যাশট্যাগ প্রচারণায় বেশ কিছু সাফল্য পাওয়া গেছে৷ ফেসবুক ইতোমধ্যে তাদের নীতিমালায় পরিবর্তন এনেছে এবং নারীর প্রতি হুমকিস্বরূপ কিংবা সহিংসতার ইঙ্গিত বহন করে এমন কন্টেন্ট দ্রুত সরিয়ে নেয়ায় সক্রিয় হয়েছে বলে জানিয়েছে৷ তাসত্ত্বেও হ্যাশট্যাগটি এখনো ব্যবহার হচ্ছে৷

#ইটসঅনআস

যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে খোদ হোয়াইট হাউসের চালু করা প্রচারণার হ্যাশট্যাগ এটি৷ এর মাধ্যমে মূলত কলেজ ক্যাম্পাসে যৌন হয়রানি রোধে সবাইকে সক্রিয় হতে আহ্বান জানানো হয়েছে৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা থেকে শুরু করে অনেকে এই প্রচারণাকে সমর্থন জানিয়েছেন৷

এর মধ্যে কোন হ্যাশট্যাগটি, মানে কোন বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে আপনি মনে করেন? জানান নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান