নানা অসুখে জার্মানদের প্রিয় ৫টি ঔষধি গাছ
নানা অসুখে ঔষধি গাছ বা লতা-পাতার ব্যবহার হয়ে আসছে সেই প্রস্তরযুগ থেকে৷ যা এই আধুনিক যুগেও অনেক অসুখ সারিয়ে তুলতে সক্ষম৷ জার্মানদের পছন্দের শীর্ষে থাকা ৫টি ঔষধি গাছের কথা পাবেন ছবিঘরে৷
ক্যামেলিয়া
আপনার প্রিয় ঔষধি গাছ কোনটি? ঠিক এই প্রশ্নটিই করা হয়েছিলো প্রায় দেড়হাজার জার্মানকে৷ ঔষধি গাছের মধ্যে জার্মানদের পছন্দের এক নম্বরে ছিলো ক্যামেলিয়া৷ ফুলকে ঔষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয় পেট ব্যথা বা বায়ু হলে৷ ত্বকের ইনফেকশন, ফুলে যাওয়া, স্বাসকষ্টেও উপকার হয়৷ তাছাড়া মুখের ভেতরে সংক্রমণ বা ব্যথায় ক্যামেলিয়া ফুলের চা পান, গার্গেল বা গড়গড় করলে উপকার পাওয়া যায়৷জার্মানদের প্রায় বাড়িতে ক্যামেলিয়া চা থাকে৷
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মৌরি
জার্মানদের পছন্দের তালিকায় মৌরির স্থান দ্বিতীয়৷ মৌরি পাকস্থলীর সমস্যা বা হজমে সাহায্য করে থাকে৷ মৌরির বীজ খাবারের রুচি বাড়ায়৷ যারা মৌরির বীজ চিবিয়ে খাওয়া পছন্দ করেন না তারা খাওয়ার পর এক কাপ মৌরির চা পান করতে পারেন৷ বলা বাহুল্য, জার্মানদের বাড়িতে বেশ কয়েক রকমের চা থাকে, অনেকেই মৌরি চা পান করেন৷
তৃতীয় স্থান পেয়েছে অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী
ঘৃতকুমারীর রস শরীরকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে দেয়৷ এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বিরাট ভূমিকা পালন করে৷ তাছাড়াও এই গাছের রস রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, রক্তের চর্বি কমায় এবং ত্বকের সংক্রমণে ব্যবহার হয়ে থাকে৷ ত্বক বা চুলের জন্য ঘৃতকুমারীর ক্রিম, লোশন, শ্যাম্পু ইত্যাদি বেশ জনপ্রিয়৷
গাঁদাফুল
ছোটবেলায় খেলার সময় হাত,পা কেটে গেলে রক্ত বন্ধ করতে গাঁদাফুল ব্যবহার করেছি জানি৷ জার্মানরাও ত্বকের ইনফেকশন বা ক্ষত সারাতে গাঁদাফুলের ঔষুধ ব্যবহার করে থাকে৷ গলা ব্যথা হলে গাঁদাফুলের ওপর ফুটন্ত পানি ঢেলে দিন আর এই পানি দিয়ে গার্গেল বা গড়গড় করুন আর ভেজাফুলগুলো কাপড়ে পেঁচিয়ে কিছুক্ষণ গলায় ধরে রাখুন, ব্যথা কমে যাবে৷ ডাইপার ব্যবহারের কারণে শিশুদের ত্বকের সমস্যায়ও গাঁদাফুলের ক্রিম ব্যবহার করা হয়৷
বিছুটি
বিছুটি পাতার ঔষুধ ব্যবহার করা হয় হয় মূত্রনালীর সংক্রমণে, পাশাপাশি বিছুটি পাতার চা পান করলে তাড়াতাড়ি মূত্রনালীর পথ পরিষ্কার হয়ে যায়৷ তাছাড়া বিছুটি পাতা বাতের ব্যথায়ও বেশ উপকারী৷ পুরুষদের প্রস্টেট বড় হয়ে যাওয়ার অস্বস্তি কমায় বিছুটি গাছের শিকড়ের রস৷