এই শিরোনামের কথাটা মনে হলেই বারবার মনে পড়ে আফগানিস্তানের কথা৷ কী থেকে কী হয়ে গেল! একমাত্র ওসামা বিন লাদেনের জন্য বিশ্বের সকল মুসলমানদেরকে দোষী করা হয়েছে৷ আফগানিস্তানের মানুষের উপর চালানো হয়েছে নির্মম নির্যাতন৷
জানিনা আসলেই কে এই হামলা করেছিল, তবে যাই হোক না কেন অ্যামেরিকা এভাবে নিজেদের ক্ষমতা জাহির করবে এটা ঠিক নয়৷ তবে একথা বলা অনস্বীকার্য যে, যে বা যারা এই ন্যাক্ক্যারজনক হামলা করেছিল তারাও ঠিক করেনি৷ এত বড় একটা প্রতিষ্ঠান কীভাবে গুঁড়িয়ে দিল৷ হাজারো মানুষের প্রাণহানি, আর্থিক ক্ষতি ইত্যাদিও তো কম নয়৷ এই টুইন টাওয়ার হামলার ১২ বছর পূর্তিতে যখন মার্কিনীরা তাদের স্বজনদের স্মরণ করছেন, তখন মার্কিন প্রশাসন ব্যস্ত সিরিয়া ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নিতে৷ জানিনা সিরিয়ার পরিস্থিতি কী হবে, তবে অ্যামেরিকার এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত৷ কোনো হঠকারিতায় না গিয়ে পরিস্থিতি বুঝে একটা ভাল সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যাতে কোনো পক্ষেরই ক্ষতি না হয়৷
যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ এখনও আল-কায়েদা, গণবিধ্বংসী অস্ত্র এবং নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে৷ অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার কথা ভাবছেন৷
বারাক ওবামার সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে আগামী দিনে আমেরিকার অধিকাংশ বাবা-মা তাদের সন্তানকে কীভাবে রাখবেন৷ না জানি আবার আফগানিস্তানের যুদ্ধের জন্য প্রাণ দিতে হবে হাজারো সৈনিককে৷
ইরাক-আফগানিস্তানের যুদ্ধের উপর ছবিঘরটি মর্মস্পর্শী৷ সব যুদ্ধের কাহিনিই সব মানুষকে যুদ্ধের পরের ছবি দেখিয়ে কাঁদায়৷ এই প্রতিবেদনটি সবাইকেই নাড়া দেবে বলে মনে করি৷ ভাল থাকবেন সবাই৷ আপনাদের সাথে আছি৷ এভাবেই লিখে পাঠিয়েছেন ই-মেলটি ঢাকা থেকে সোহেল রানা হৃদয়৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন