1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নতুন দিল্লির সংসদভবনে সন্ত্রাসী হামলার নবম বর্ষ

১৩ ডিসেম্বর ২০১০

সন্ত্রাসী হামলার নবম বর্ষে আজ সংসদ ভবনের চত্বরে নিহত নিরাপত্তা রক্ষীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলমত নির্বিশেষে সব রাজনৈতিক নেতারা৷ প্রশ্ন উঠেছে, আসামি আফজল গুরুর ফাঁসির আদেশ এখনো কেন কার্যকর হয়নি?

https://p.dw.com/p/QXAS
সন্ত্রাসী হামলায় আহত একজনছবি: AP

২০০১ সালের এই দিনে ভারতের সংসদ ভবনের ওপর হামলা চালিয়ে সন্ত্রাসীরা সংসদে উপস্থিত মন্ত্রী ও সাংসদদের পণবন্দি করার চেষ্টা চালায়৷ সেই চেষ্টা ব্যর্থ করতে গিয়ে প্রাণ দেন ৯ জন নিরাপত্তা কর্মী৷ আজ সংসদ ভবনের প্রাঙ্গনে সেই বীর শহীদের স্মৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলমত নির্বিশেষে সব রাজনৈতিক নেতারা যার পুরোভাগে ছিলেন উপ-রাষ্ট্রপতি হামিদ আন্সারি ও প্রধানমন্ত্রী ড: মনমোহন সিং৷ অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন সংসদের স্পীকার মীরা কুমার, বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা এল.কে আডবানি,বিরোধি নেত্রী সুষমা স্বরাজ, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী প্রমুখ৷ সংসদের উভয়সভায় পালন করা হয় এক মিনিট নীরবতা৷

এই হামলায় দোষী সাব্যস্ত হয় পাকিস্তান-ভিত্তিক জৈইসে-ই-মহম্মদ জঙ্গি সংগঠনের সদস্য বলে কথিত মহম্মদ আফজাল গুরু৷ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, যুদ্ধ ঘোষণা ও হত্যার অভিযোগে তাঁর ফাঁসির আদেশ দেন দিল্লি হাইকোর্ট ২০০৩ সালে৷ এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে সুপ্রিম কোর্ট তা বহাল রাখেন৷ আফজাল গুরু তখন মার্জনা ভিক্ষা চায় রাষ্ট্রপতির কাছে৷ রাষ্ট্রপতি এবিষয়ে চড়ান্ত আদেশ না দেয়ায় আফজলের ফাঁসি এখনো কার্যকর হয়নি৷ এই নিয়ে জনমনে যথেষ্ট অসন্তোষ রয়েছে৷ বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজ বলেন, গণতন্ত্র রক্ষায় যাঁরা প্রাণ আহুতি দিলেন, তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোই যথেষ্ট নয়, দোষীকে উপযুক্ত শাস্তি না দেয়াটাও নিহতদের পরিবারের প্রতি, দেশের প্রতি অবিচার৷ বিজেপির অভিযোগ, কংগ্রেস সরকার ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থে ফাঁসির আদেশ কার্যকর করছেনা৷কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি.চিদাম্বরম বলেন,আফজালের ফাঁসি কার্যকর করার আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে৷রাষ্ট্রপতি ইতিমধ্যে ৫/৬টি মার্জনা মামলা সম্পর্কে আদেশ দিয়েছেন এই সরকারের তৎপরতায়৷

২০০১ সালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন আডবানি৷তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা যদি সংসদ ভবনে উপস্থিত মন্ত্রী ও সাংসদদের পণবন্দি করতে পারতো, তাহলে সেটা হতো ভারতীয় গণতন্ত্রের জন্য শোচনীয় ট্রাজেডি৷ উল্লেখ্য, এই সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে ওঠে৷ ২০০২ সালে ভারত শুরু করে অপারেশন পরাক্রম৷

নিখিল ভারত সন্ত্রাস-বিরোধী ফ্রন্টের সভাপতি বি.এস বিট্টার মতে, আফজাল গুরু ও আজমল কাসাবের মত সন্ত্রাসীদের বিচারের জন্য দরকার সন্ত্রাস-বিরোধী সামরিক আদালত গঠন যেখানে কোন রাজনৈতিক প্রভাব থাকবেনা৷ তাঁর অভিযোগ, আফজালের ফাঁসি কার্যকর না কবার পেছনে আছে রাজনীতি ৷ আজ তিনি নিহতদের পরিজনদের সঙ্গে দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে অমর জওয়ান জ্যোতিতে পুষ্পার্ঘ নিবেদন করেন৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক