1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নতুন উত্তেজনায় জার্মানি ইংল্যান্ড

২৪ জুন ২০১০

ঘটতে যাচ্ছে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি৷ রবিবার ব্লোমফন্টাইনের মাঠে৷ আবারও মুখোমুখি হচ্ছে দুই ফেভারিট জার্মানি এবং ইংল্যান্ড৷ সত্তর এবং নব্বই এর পর বিশ বছর ব্যবধানে আবারো৷

https://p.dw.com/p/O1s7
জার্মান ফুটবলপ্রেমীদের একাংশ (ফাইল ছবি)ছবি: AP

ইংল্যান্ড জার্মানির লড়াই শুরু সেই ১৯৬৬ তে৷ জার্মানদের জন্য সুখকর ছিল না শুরুটা৷ কারণ ৬৬'র আসরের একেবারে ফাইনালে ৪-২ গোলে হেরেছিল জার্মান দল৷ অবশ্য তার জবাব দিয়েছে তারা কয়েক দফা৷ ৭০'র আসরে সেমি ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের ৩-২ গোলে জার্মানদের জয়৷ ৯৬'র ইউরো ফুটবল এবং ৯০'র বিশ্বকাপে সেমি-ফাইনালে পেনাল্টিতে ইংল্যান্ডকে হারায় জার্মানি৷ আর এবার দ্বিতীয় রাউন্ডে মুখোমুখি ইউরোপের দুই হট ফেভারিট৷

জয়ের স্বপ্ন দুই দলেরই৷ শিরোপা ঘরে ফেরানোর প্রতিশ্রুতি উভয়েরই কণ্ঠে৷ তাই রবিবারের ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনা টানটান৷ জার্মান ফুটবল আইকন ফ্রানৎস বেকেনবাউয়ারের ভাষ্য, ‘‘ইংল্যান্ড-জার্মানি৷ ইতিহাসের সবচেয়ে উচ্চ মানের এবং স্মরণীয় খেলাই হয় এই দুই দলের মধ্যে৷ ফলে এবারও একটা বড় মাপের লড়াই হবে এটা নিশ্চিত৷'' ৭৪-এ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক বেকেনবাউয়ার বলেন, ইংল্যান্ডের চেয়ে ‘‘আমরা বেশি শক্তিশালী৷ তবুও সম্মান দেখাতেই হবে, কিন্তু ভয় পাওয়া যাবে না৷ ইংলিশরা বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়েছে, তবে আমাদের ছেলেরা শারীরিক ফিটনেসেও বেশ এগিয়ে৷'' মোটের উপর ‘থ্রি লায়নস'কে হারাবে জার্মানি এমন বিশ্বাস ‘ডেয়ার কাইজার' বেকেনবাউয়ারের৷

U21 beim Jubel
ইউরোপীয় ফুটবলের আসরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়ের পর জার্মান ফুটবলারদের উল্লাস (ফাইল ছবি)ছবি: AP

রবিবারের ম্যাচকে খাটো করে দেখছে না কেউ৷ আসল খেলা কেবলই শুরু, এমন মন্তব্যই উভয় দলের তারকাদের৷ ইংলিশ মিডফিল্ডার ফ্র্যাঙ্ক ল্যামপ্যার্ডের কথায়, ‘‘ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ এখনই শুরু৷ ইংল্যান্ড শিরোপার জন্যেই লড়বে৷'' সহ খেলোয়াড় জো কোল বলেন, ‘‘আমরা আরো বেশি আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলবো৷ কারণ আমরা স্পিরিট ফিরিয়ে এনেছি৷ শুরুটা বেশ ভালোই হয়েছে৷ অবশ্য আমাদের আরো চাপ সৃষ্টি করতে হবে৷'' রবিবারের ম্যাচ নিয়ে ইউরোপীয়দের এই টানটান উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের সব প্রান্তেই৷ তবে জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটতে প্রতীক্ষা করতে হচ্ছে আরো দু'টো দিন৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক