1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নতুন ইমিগ্রেশন আইনের কারণে ব্রিটেনে কারি শিল্প হুমকির মুখে

২ আগস্ট ২০১০

ব্রিটিশরা অনেককাল ধরে রাজত্ব করেছেন উপমহাদেশে৷ ঐ সময় সেখানকার খাবার-দাবারের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন শাসকরা৷ ফলে ব্রিটিশ শাসন শেষে শাসকরা ফিরে যাবার সময় তাঁদের সঙ্গী হয় উপমহাদেশের খাবার৷

https://p.dw.com/p/OZdA
৫০টি সেরা ভারতীয় কারির অন্যতম এটিছবি: AP

সেই থেকে এখনো ব্রিটেনে ব্যাপক জনপ্রিয় এই খাবার৷ কিন্তু হঠাৎ করেই এর ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে৷

গত সপ্তাহে নতুন ইমিগ্রেশন আইন চালু করেছে ব্রিটিশ সরকার৷ এর ফলে বেশি করে বিদেশি শ্রমিকের আগমন বন্ধ হয়ে যেতে পারে৷ কারণ এই আইনে ইমিগ্রেশনের অনুমতি দেয়ার ক্ষেত্রে নতুন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে৷ এক্ষেত্রে আবেদনকারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বিবেচনা করা হবে৷ এছাড়া প্রতি মাসে তিনি কত টাকা আয় করতে পারবেন এবং তাঁর ইংরেজি জ্ঞান কেমন – তাও বিবেচনা করা হবে৷

ফলে হোটেলে কাজ করানোর জন্য পর্যাপ্ত লোক পাওয়া যাবেনা, বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এ্যাসোসিয়েশন-এর প্রেসিডেন্ট বজলুর রশীদ৷ তিনি বলেন, ‘‘গত পাঁচ বছর ধরে আমাদের কারি শিল্পে প্রায় ত্রিশ হাজার দক্ষ জনশক্তির অভাব রয়েছে৷ তাই আরও লোক আনার জন্য আমরা সরকারের সঙ্গে লবি করে যাচ্ছিলাম৷ কিন্তু এখন আবার এই নতুন আইনের কারণে কারি শিল্প মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে৷ কারণ এর ফলে আরও লোক আনা যেমন সম্ভব হবেনা৷ তেমন বর্তমানে যারা কাজ করছেন তাঁরাও চাকরি হারাবেন৷''

বর্তমানে ব্রিটেনে প্রায় ১,২০০ বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট রয়েছে৷ সেখানে কাজ করছে প্রায় এক লক্ষ লোক৷ রশীদ বলেন, ‘‘কারি রান্না একটি শিল্প৷ উপমহাদেশের লোক ছাড়া ব্রিটেনের স্থানীয়দের দিয়ে কারি রান্না সম্ভব নয়৷ কারণ তাঁরা অনেকক্ষণ ধরে কারি'র গন্ধ সহ্য করতে পারেননা৷ এমনকি তাঁরা মনে করেন, এর ফলে কাপড়ে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে৷''

এদিকে লন্ডনের সেন্টার ফর রিসার্চ এ্যান্ড এ্যানালিসিস অফ মাইগ্রেশন-এর প্রধান অধ্যাপক ক্রিস্টিয়ান ডুস্টমান এই নতুন আইনের বিরোধিতা করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘২০০৩ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত ব্রিটেনে ইমিগ্রেশনের হার ছিল সবচেয়ে বেশি৷ আর সেসময় ব্রিটেনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও ছিল অনেক বেশি৷ কিন্তু এরপর থেকেই অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হয়৷ এখন যখন এই মন্দা থেকে ব্রিটেন বেরিয়ে আসছে ঠিক সেসময় এই নতুন ইমিগ্রেশন আইন ব্রিটেনের প্রবৃদ্ধিকে আবারও খারাপের দিয়ে নিয়ে যেতে পারে৷''

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন