ধ্বংসস্তূপ থেকে ২৩ টি লাশ উদ্ধার
৩ জুন ২০১০রাজধানীর বেগুনবাড়ীতে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার হচ্ছে একের পর এক লাশ৷ মঙ্গলবার রাতে কয়েকটি টিনশেড বাড়ির ওপর পাঁচতলা ভবন ধসে পড়ার ঘটনায় নিহতের চূড়ান্ত সংখ্যা নিরূপণ না হলেও বুধবার রাত পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে ২৩টি লাশ৷ দৈনিক প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, সমকাল, ডেইলি স্টারসহ সব পত্রিকার শীর্ষ খবর হয়েছে বেগুনবাড়ীর ট্রাজেডির খবরটি৷ এতে বলা হয়েছে, সেখান থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ২১ জনকে৷ ধ্বংসস্তূপের নিচে আরো অন্তত ২০ জন আটকে আছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করছেন৷ মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনার শিকার পরিবারগুলোর সদস্যদের মাতমে ভারী হয়ে উঠেছে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের ঝিলপাড় এলাকা৷ নিহতদের মধ্যে ৯ জন নারী ও ছয়টি শিশু রয়েছে৷ এদিকে, সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্ট ও রোভার স্কাউটের পাঁচ শতাধিক কর্মী উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে৷
কারাগারে দৈনিক ‘আমার দেশ' সম্পাদক
দৈনিক ‘আমার দেশ'এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে৷ মঙ্গলবার শেষ রাতে ‘আমার দেশ' কার্যালয় থেকে তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করে৷ দৈনিক ‘আমার দেশ' সংবাদপত্র বন্ধ এবং ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক গ্রেপ্তারের পর তাঁর অবস্থা, বিভিন্ন মহল থেকে এর প্রতিবাদের খবর দৈনিক জনকণ্ঠ, ইত্তেফাক, প্রথম আলো, সমকাল, নিউ এইজসহ সব পত্রিকারই প্রথম পাতায় জায়গা করে নিয়েছে৷ খবরে বলা হচ্ছে, মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতারের সময় পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বুধবার পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়৷ এ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে বিকেলে তাঁকে আদালতে হাজির করে পুলিশ৷ আদালত রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন৷ তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজনে তিন দিনের মধ্যে তাঁকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন৷ এদিকে, অবিলম্বে ‘আমার দেশ' চালুর দাবিতে বুধবার সাংবাদিক ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন বিক্ষোভ সমাবেশ এবং মিছিল করে৷
যৌথ সহযোগিতা কৌশলপত্র স্বাক্ষর
বৈদেশিক সাহায্যের কার্যকারিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৮টি দেশ ও সংস্থার সাথে যৌথ সহযোগিতা কৌশলপত্র স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ৷ দৈনিক ইত্তেফাক, জনকণ্ঠ, ডেইলি স্টার, নিউ এইজসহ বেশ কিছু পত্রিকায় বেশ গুরুত্বের সাথে স্থান পেয়েছে খবরটি৷ এতে বলা হচ্ছে, বুধবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া এবং সংশ্লিষ্ট দূতাবাস ও সংস্থাসমূহের প্রধানগণ তাঁদের নিজ নিজ দেশ ও সংস্থার পক্ষে কৌশলপত্রে স্বাক্ষর করেন৷ জেসিএস স্বাক্ষরের ফলে উন্নয়ন সহযোগী ও ঋণগ্রহীতা বাংলাদেশ দুই পক্ষেরই কার্যক্রমে আরো স্বচ্ছতা বাড়বে৷ এছাড়া উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইনও পাওয়া যাবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন৷ যৌথ কৌশলপত্রে স্বাক্ষরদাতা উন্নয়ন সহযোগীরা হচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ডেনমার্ক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানি, ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, জাপান, কোরিয়া, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বব্যাংক৷
গ্রন্থনা: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন