1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ধূমপায়ীদের ফুসফুস ক্যান্সারে সক্রিয় জিন আবিষ্কার

৮ এপ্রিল ২০১০

জিন ভিত্তিক গবেষণাতেও বেরিয়ে আসল ধূমপায়ীদের ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার মারাত্মক ঝুঁকির তথ্য৷ উটা ইউনিভার্সিটি এবং বোস্টন ইউনিভার্সিটির চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষকরা এক্ষেত্রে তাঁদের অগ্রগতির তথ্য প্রকাশ করলেন বুধবার৷

https://p.dw.com/p/MpoR
ছবি: AP

গবেষকরা এক গুচ্ছ জিন আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন যেগুলো ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের দেহে সক্রিয় থাকে৷ এই জিনগুলো সুস্থ কলাতেও সক্রিয় থাকে বলে ধরা পড়েছে৷ কোন ধূমপায়ীর ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি সেটিও নির্ণয় করা সম্ভব হতে পারে এই জিনগুলোর সাহায্যে৷ গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে সায়েন্স ট্রানস্লেশনাল মেডিসিন শীর্ষক জার্নালে৷

গবেষক দলের সদস্য উটা ইউনিভার্সিটির আন্দ্রেয়া বিল্ড বলেন, ‘‘ক্যান্সার বেড়ে ওঠার আগেও স্বাভাবিক এবং সামান্য আক্রান্ত কোষগুলোতেও তাদের সক্রিয় পাওয়া গেছে৷'' এগুলোর মধ্যে প্রধান জিনটির নাম পিআইথ্রিকে৷ গবেষকরা বলছেন, পিআইথ্রিকে অন্যান্য জিনের গতিপথকেও প্রভাবিত করে৷ এই জিনটি ধূমপায়ীদের শ্বাসনালীতেই পাওয়া যায়৷ ফলে আগামীতে ধূমপায়ীদের শরীরে ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য ফুসফুস কিংবা আরো ভেতরে কোন পরীক্ষা চালানোর প্রয়োজন হবে না বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা৷

বোস্টন ইউনিভার্সিটির অ্যাভরাম স্পিরা বলেন, ‘‘এই কোষগুলো কয়লা খনির ক্যানারির মতো৷ যদিও ধূমপানের সময় ক্যান্সার ফুসফুসের অত্যন্ত গভীরে বাড়তে থাকে, তবুও এই কোষগুলো ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সম্পর্কে তথ্য দিতে পারে৷ এটিকে ফুসফুসের জানালা হিসেবে বিবেচনা করা যায়৷''

গবেষকরা ধূমপায়ীদের শ্বাসনালী থেকে একটি ব্রাশে করে কোষগুলোকে সংগ্রহ করেন৷ তাঁরা এগুলোকে একটি ‘জিন চিপে' রাখেন৷ এরপর লক্ষ্য রাখেন যে, কোনগুলো সক্রিয় থাকছে৷ ফলে দেখা গেছে যে, যাদের ফুসফুসের ক্যান্সার রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে পিআইথ্রিকে কোষগুলো সক্রিয় হয়ে উঠছে৷ অন্যদিকে যাদের এই ক্যান্সার নেই তাদের ক্ষেত্রে উল্টো ঘটনা দেখা যাচ্ছে৷

উল্লেখ্য, ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পেছনে ৯০ শতাংশই দায়ী ধূমপান৷ আর এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সারা বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ১২ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়৷ অথচ ধূমপায়ীদের মাত্র ১০ শতাংশ ফুসফুসের ক্যান্সারে মারা যায়৷ বাকিরা হৃদরোগ, স্ট্রোক কিংবা শ্বাসকষ্ট জনিত অন্যান্য অসুখে আক্রান্ত হয়৷ কিন্তু ফুসফুসের ক্যান্সারটি বেশি মারাত্মক হওয়ার পেছনে কারণ হচ্ছে এর লক্ষণসমূহ খুবই অস্পষ্ট থাকে৷ এটা অনেক বেশি ছড়িয়ে না পড়া পর্যন্ত নির্ণয় করাই যায় না৷ ফলে যখন ক্যান্সার ধরা পড়ে তখন আর চিকিৎসা করার সময় থাকে না৷

প্রতিবেদক: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী