ধর্মীয় গ্রন্থে পরিবেশের কথা
ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সব ধর্মের পবিত্র গ্রন্থেই পরিবেশ রক্ষার জন্য অনুসারীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷ ছবিঘরে থাকছে সেসব কথাই৷
ঈশ্বরের সৃষ্টিকে রক্ষা
বাইবেলের প্রথম বই ‘জেনেসিস’এ বলা আছে, ঈশ্বর আদম আর ঈভকে ‘গার্ডেন অফ ইডেন’ অর্থাৎ ‘ঈশ্বরের বাগান’ বলে যেটা পরিচিত, সেখানে পাঠিয়ে বাগানের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দিয়েছিলেন৷
ধর্মীয় বেস্টসেলার
বিশ্বের সবচেয়ে বেশিবার পঠিত ও প্রকাশিত বই খ্রিস্টানদের বাইবেল৷ এই বইয়ে সৃষ্টিজগতের কথা বেশ গুরুত্ব দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে৷
বাইবেল এর সবচেয়ে পরিচিত শ্লোক বা পঙক্তি
ঈশ্বর তাদের আশীর্বাদ করেন এবং বলেন: ‘‘ফলপ্রসু হও এবং সংখ্যায় বেড়ে ওঠ৷ পৃথিবীকে ভরিয়ে দাও ও তাকে নিয়ন্ত্রণে আনো৷ সাগরের মাছ, আকাশের পাখি আর ভূমিতে যত জীবন্ত প্রাণী আছে তাদের উপর আধিপত্য প্রতিষ্ঠা কর৷’’ (জেনেসিস ১:২৮)৷ এটা বাইবেলের সবচেয়ে পরিচিত পঙতির মধ্যে একটি৷
আল্লাহর সৃষ্টি ব্যবহারে সতর্ক হও
ইসলাম ধর্মেও আল্লাহর সৃষ্টিকে রক্ষার জন্য অনুসারীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে৷ সূরা আর রহমান-এ বলা আছে, মানুষের ব্যবহারের জন্যই পৃথিবীর সবকিছু সৃষ্টি করা হয়েছে, তবে সেটা করতে হবে সতর্ক হয়ে৷
মানুষ ও প্রকৃতির সম্পর্ক
কোরানের অনেক আয়াতেই প্রকৃতি ও পরিবেশের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে৷ যেমন সূরা আল বাক্বারাহ’য় বলা আছে, ‘‘তোমরা পৃথিবীর অনিষ্ট করো না৷’’
ভারসাম্য বজায় রাখা
হিন্দুদের ভগবত গীতার তৃতীয় অধ্যায়ের ১২ নম্বর শ্লোকে বলা হয়েছে, ‘‘...ভগবান তোমাকে তোমার প্রয়োজনীয় খাবার দেবেন৷ যারা এই উপহার গ্রহণ করবে কিন্তু বিনিময়ে কিছু দেবে না তারা চোর, এর কমও নয় বেশিও নয়৷’’
নিজেকে সৃষ্টির অংশ মনে করা
বৌদ্ধ ধর্ম বলে, সত্যিকার অর্থে দীক্ষা লাভ করতে হলে একজন মানুষের নিজেকে অবশ্যই অন্যান্য সৃষ্টির মতোই একটি অংশ মনে করতে হবে এবং তাদের দুঃখ, কষ্ট ভাগ করে নিতে হবে৷