1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ধরা পড়লো ভারতের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ ইয়াসিন ভটকল

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি৩০ আগস্ট ২০১৩

অবশেষে ধরা পড়লো ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকার এক নম্বর চাঁই ইয়াসিন ভটকল৷ ভারত-নেপাল আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ ডজন খানেক জঙ্গি হামলা ও বিস্ফোরণের ঘটনার মূল চক্রী সে৷

https://p.dw.com/p/19Yer
ছবি: picture-alliance/dpa

ভারতের মাটিতে গজিয়ে ওঠা সব থেকে বিপজ্জনক জঙ্গি সংগঠন আইএম বা ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন গত পাঁচ বছর ধরে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে তাদের নেটওয়ার্ক তৈরি করে একের পর এক বোমা হামলা চালিয়ে গেছে, এমনটাই অভিযোগ৷ পুলিশ ও গোয়েন্দারা বহু চেষ্টা করেও এই নেটওয়ার্কের মূলচক্রী ইয়াসিন ভটকলকে ধরতে পারেনি৷ গত বছর দু-দুবার পুলিশের জালে ধরা পড়তে গিয়েও জাল কেটে পালিয়ে যায়৷ এবার তা পারেনি৷

বিহার পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর যৌথ অভিযানে আইএম-এর ‘মোস্ট ওয়ান্টেড' জঙ্গি ইয়াসিন ভটকল অবশেষে ধরা পড়ে৷ ভটকলের সঙ্গে ধরা পড়ে তার ডান হাত বলে কথিত আসাদুল্লা আখতার ওরফে হাড্ডি৷ ওরা দু'জনেই এখন আছে বিহার পুলিশের জিম্মায় সংবাদ মাধ্যমকে একথা জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিন্ধে৷ তারপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের তুলে দেয়া হবে জাতীয় তদন্ত এজেন্সির (এনআইএ) হাতে৷ নিয়ে আসা হবে দিল্লিতে৷

ইয়াসিন ভটকলের পরিচয় কী? ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা৷ ভারত-নেপাল আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে বিহার রাজ্যের মিথিলাঞ্চলে প্রথম নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে সাবান্দ্রী ভাই ইকবাল এবং রিয়াজ ভটকল৷ মুসলিম যুবকদের সংগঠিত করে সন্ত্রাসীদল বানায়৷ সংযোগ তৈরি করে পাকিস্তান-ভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বা এবং জঈসে মহম্মদ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে৷ পুলিশের নজরে পড়ায় তারা পালিয়ে যায় পাকিস্তানের করাচিতে৷ তারপর আইএম-এর হাল ধরে ইয়াসিন ভটকল৷ সে নিজে বোমা বানাতো, পাচার করতো, বিস্ফোরণের ছক কষতো৷

Indien Pune Bombenexplosion
২০১০ সালে জার্মান বেকারিতে বিস্ফোরণকাণ্ডের ছবিছবি: AP

বলা হয়, ৩০ বছর বয়সি ইয়াসিন ভারতের দক্ষিণী রাজ্য কর্নাটকের এক ধনী পরিবারের ছেলে৷ ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতক এবং ইউনানি ডাক্তার৷ জানা গেছে, গ্রেপ্তারের সময় পুলিশকে বলে সে জঙ্গি ভটকল নয়৷ ভুল লোককে তারা গ্রেপ্তার করেছে৷ এই দাবির সত্যতা নিরুপণে তাঁর বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে৷

ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ? বোমা বিস্ফোরণ ও অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যকলাপের ডজন খানেক অভিযোগ রয়েছে৷ মহারাষ্ট্রের পুনে শহরে ২০১০ সালে জার্মান বেকারিতে বিস্ফোরণকাণ্ড, তাতে মারা যায় ১৭ জন, ২০০৬ সালে মুম্বই লোকাল ট্রেনে বিস্ফোরণকাণ্ড, হায়দ্রাবাদের দিলসুখনগরে বোমা বিস্ফোরণ তাতে মারা যায় ১৪ জন৷ এছাড়া ১৯৯৩ সালে মুম্বই ধারাবাহিক বিস্ফোরণকাণ্ডের সমন্বয়ে সাহায়্য করে৷ ঐ ধারাবাহিক বিস্ফোরণে মারা গিয়েছিল ২৫০ জনের মতো৷ পশ্চিমবঙ্গে জাল নোট মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়, কিন্তু জামিনে ছাড়া পেয়ে যায় সে৷

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে আরেকজন ‘মোস্ট ওয়ান্টেড' সন্ত্রাসী চাঁই আবদুল করিম টুন্ডাকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ৷ লস্কর-ই-তৈয়বার ঘনিষ্ট টুন্ডাকে গ্রেপ্তারের পর ভটকলের গ্রেপ্তারির মধ্যে যোগসূত্র আছে বলে অনেকের সন্দেহ৷ কারণ পুলিশের তরফে বলা হয় টুন্ডা তদন্তের কাজে সহযোগিতা করছে৷ তবে দুটি বড় মাপের চাঁইকে গ্রেপ্তার করার সাফল্যকে সব রাজনৈতিক দল স্বাগত জানিয়েছে৷ ভারতে সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের ওপর বড়সড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে৷

ভটকলের পিতা বলেছে, তাঁর ছেলে নির্দোষ৷ দোষী হলে শাস্তি পাক, দুঃখ নেই৷ ভারতের বিচার ব্যবস্থার ওপর তাঁর গভীর আস্থা আছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য