1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দেশে ফিরে বীরোচিত সংবর্ধনা পেল ডাচরা

১৪ জুলাই ২০১০

বিশ্বকাপ ফুটবল এবার শুধু স্প্যানিশদের নয় জাতীয় বীরে পরিণত করেছে ডাচ ফুটবলারদেরও৷ শিরোপা ঘরে তুলতে না পারলেও ডাচ বীররা ঘরে ফিরে পেলেন দেশবাসীর অফুরন্ত ভালোবাসা, উচ্ছ্বাস আর আবেগময় সংবর্ধনা৷

https://p.dw.com/p/OISY
Dutch, soccer, Football, FIFA, বিশ্বকাপ, ফুটবল, ডাচ
বিশ্বকাপ না পেলেও গর্বিত ডাচরাছবি: picture-alliance/dpa

তবে মাদ্রিদের মতো বিজয় শোভাযাত্রা রাজপথে নয়, শোভাযাত্রা হলো ইজ নদীজুড়ে৷ সুসজ্জিত নৌকায় করে নেচে গেয়ে পাড়ি দিলেন ডাচ ফুটবলাররা প্রায় সাত কিলোমিটার পথ৷ চারিদিকে শুধু কমলা রঙের বাহার৷ আর নদীর দুই ধারে উপচে পড়া মানুষের ভিড়৷ ০-১ গোলে স্পেনের কাছে হারলেও শেষ পর্যন্ত দারুণ লড়েছেন সোনার ছেলেরা৷ তাই জাতীয় বীরদের এক নজর দেখতেই ভক্তদের ভিড় দুই তীরে৷

কমলা রঙের ফুলের মালা গলায় ৪০ বছর বয়সি ডেনি ডে ইয়ঙ্গ বললেন, ‘‘কোন ডাচ দলকে শেষ পর্যন্ত এমন চমৎকার লড়াই চালিয়ে যেতে কখনই দেখিনি৷ তাই জয় না পেলেও এমন সংবর্ধনা খেলোয়াড়দের প্রাপ্য৷'' ২৩ বছরের নিকো বাকেরের গালে লাল, সাদা এবং নীল রঙের ডাচ পতাকা আঁকা৷ বাকের বলেন, ‘‘রবিবার আমরা খুবই, খুবই হতাশ হয়েছিলাম৷ কিন্তু আজ আমরা গর্বিত৷ কারণ বিশ্বে দ্বিতীয় সেরা এটিও তো কম নয়৷''

পুলিশ বলছে, আমস্টার্ডামের পথ-ঘাট আর নদীর তীরজুড়ে সমাগম হয়েছিল কমপক্ষে পাঁচ লাখ মানুষের৷ এমনকি উল্লাস আর আনন্দের জোয়ারে ভাসতে বেশ কিছু ভক্ত ঝাঁপিয়ে পড়েন নদীর জলে৷ আর নৌবিহার শেষে রানী বিয়াট্রিক্সের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন ডাচ দলের গর্বিত সদস্যরা৷ দক্ষিণ আফ্রিকায় সাফল্যের জন্য জাতীয় বীরদের অভিনন্দন জানান রানী৷

এর আগে ডাচ অধিনায়ক জিওভানি ভন ব্রঙ্কহর্স্ট এবং কোচ বের্ট ফ্যান মারভাইক'কে দেওয়া হয় সম্মানসূচক ‘নাইট' উপাধি৷ দ্য হেগ-এ স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ইয়ান পেটার বাল্কেনেন্ডের উপস্থিতিতে তুলে দেওয়া হয় এই উপাধির পদক৷ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে ডাচ দলের সম্মানে আয়োজিত চা-চক্রে বাল্কেনেন্ডে বলেন, ‘‘ওরানিয়ে দলের জন্য নেদারল্যান্ডস গর্বিত৷''

এদিকে, কোচ ইয়োগি ল্যোভের দল দেশে ফিরে বিমানবন্দরে ভক্তদের সাথে দেখা না করে বরং পেছন গেট দিয়ে সরে পড়ার জন্য সমালোচনার মুখে পড়ে৷ অবশেষে মঙ্গলবার সেজন্য ভক্তদের কাছে ক্ষমা চাইল জার্মান ফুটবল ফেডারেশন৷ জাতীয় দলের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে বিবৃতি৷ লেখা হয়েছে, ‘‘যারা বিমানবন্দরে এসে খেলোয়াড়দের সাক্ষাৎ পেতে ব্যর্থ হয়েছে তাদের কাছে ক্ষমা চায় জার্মান দল৷''

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী