1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দেশে কত ফোনে আড়িপাতা হয়, সরকারকে শুধালো বিজেপি

১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১১

ভারতে বছরে এক লাখ ফোনে আড়িপাতা হয়ে থাকে৷ প্রকৃত সংখ্যাটা হয়ত আরো বেশি৷ নিরাপত্তার নামে এটা ক্ষমতার অপব্যবহার ও নাগরিকদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন৷ তাই সরকারের কাছে এর ব্যাখ্যা চেয়েছে বিজেপি৷ এ বিষয়ে ভারতের আইন কী বলছে?

https://p.dw.com/p/10HPQ
ছবি: fotolia/zentilia

সংবাদ মাধ্যমের হিসেবে দেশে বছরে এক লাখের মত ফোনে আড়িপাতা হয়ে থাকে৷ এর প্রেক্ষিতে বিজেপি সাংসদ অরুণ জেটলি আজ কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জানতে চান, দেশে বছরে যত ফোনে আড়িপাতা হয়ে থাকে তার মোট সংখ্যা কত এবং তা কি করা হয় দেশের আইন অনুসারে, অন্য কোনভাবে নয়৷ ফোনে আড়ি পাতে কোন কোন রাজ্য সরকারও৷ তাই সংখ্যাটা আরো বাড়তে পারে, যেটা যথেষ্ট চিন্তার কারণ৷ আইন অনুসারে দেশের নিরাপত্তা ও অপরাধ রোধের ক্ষেত্রেই শুধু তা করা যায়৷ কিন্তু সেটা করতে গিয়ে নাগরিকদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা তথা স্বাধীনতা লঙ্ঘন করা হচ্ছে৷

সমাজবাদী দলের প্রাক্তন নেতা অমর সিং-এর ফোনে আড়িপাতা মামলায় সুপ্রিম কোর্ট মন্তব্য করেছেন, ভাড়া করা লোক সরকারি আদেশ জাল করে ফোনে আড়ি পাতছে৷ সার্ভিস প্রোভাইডাররা তা যাচাই করেনা৷ তার মানে, যে-কেউ সরকারি আদেশ জাল করে খুশিমত ফোনে আড়ি পাততে পারে৷ ইচ্ছে করলে সেনাবাহিনীর প্রধানের ফোনে আড়ি পেতে গোপন খবর বাইরে পাচার করতে পারে৷ যেটা দেশের নিরাপত্তার পক্ষে কতটা বিপজ্জনক তা সহজেই অনুমেয়৷

এবিষয়ে দেশের আইন কী বলছে ? ফোনে আড়িপাতার সংবিধানসম্মত বৈধ আইন দেশে নেই৷ যেটা আছে সেটা হলো ১৮৮৫ সালের ভারতীয় টেলিগ্রাফ আইন৷ বর্তমানের প্রয়োজনে তা একেবারেই অচল৷ তাই এই আইন অবিলম্বে সংশোধন না করলে সুপ্রীম কোর্ট ইন্ডিয়ান টেলিগ্রাফ আইনের যে-কোন ধারাকে অসাংবিধানিক বলে খারিজ করতে পারে৷ অবশ্য এবিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের যে নির্দেশিকা আছে, তা হামেশাই মানা হয় না৷ বর্তমান ইন্ডিয়ান টেলিগ্রাফ আইনকে সুপ্রীম কোর্ট অসাংবিধানিক ঘোষণা না করলে সংসদ ফোনে আড়িপাতার নতুন আইন প্রণয়ন করতে পারবে না৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন