1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দৃষ্টিহীনদের বাদুড়ের মতো দৃষ্টি!

২৫ জানুয়ারি ২০১৬

চোখে না দেখে বাদুড় যেভাবে শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে উড়তে পারে, তা সত্যি বিস্ময়ের কারণ৷ অন্ধ মানুষও শব্দ সৃষ্টি করে একই পদ্ধতিতে এগিয়ে যেতে পারেন৷ জার্মানির এক তরুণ সেই অসাধ্য সাধন করে দেখিয়ে দিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/1HjHO
Australische Gespenstfledermaus Macroderma gigas
ছবি: Imago/UIG

টমির বয়স ১৮৷ আজ তিনি অন্ধ৷ অথচ চিরকাল এমনটা ছিল না৷ তিনি বললেন, ‘‘২০০২ সালে পাঁচ বছর বয়সে আমার একটা অপারেশন হয়৷ মাথায় টিউমার ছিল, ঠিক পিটিউটারি গ্ল্যান্ড বা গ্রন্থির উপর৷ অপারেশনের ফলে আমি রাতারাতি অন্ধ হয়ে যাই৷ মনে চরম আতঙ্ক, ভ্রম দেখা দিয়েছিল৷ শিশু ও কিশোরদের মানসিক রোগ বিভাগে আমার চিকিৎসা হয়৷''

তারপর যা ঘটল, তাকে অলৌকিক বলা চলে৷ টমি আবিষ্কার করলেন, যে শুধু জিবে বিশেষ শব্দ করেই আশেপাশের জগত সম্পর্কে ধারণা করা যায়৷ না দেখেই টমি তাঁর সামনে রাখা একাধিক বস্তুর বর্ণনা দিতে পারেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার সামনে, প্রায় এক মিটার দূরে, একটা গোল চাকতি রয়েছে৷ তার পাশে চৌকো আকৃতি৷ সেটা আধা মিটার থেকে ৭৫ সেন্টিমিটার দূরে৷ দুই মিটার দূরে রয়েছে ত্রিকোণ আকৃতি৷ বাইরে গিয়েও চারিদিকে এমন শব্দ করে দেখেছি৷ সঙ্গে লাঠিও ছিল না৷ কোনো সমস্যা হয়নি৷ এমন সব কাজ করতে পেরেছি, প্রথমে যা করতে সাহসই হয়নি৷ তারপর অবশ্য এগিয়ে গেছি৷ করতে পেরে খুব ভালো লেগেছে৷''

প্রাণিজগতে ‘সোনার' তরঙ্গের ব্যবহার অত্যন্ত স্বাভাবিক৷ বাদুড় এভাবে দুর্ঘটনার ভয় ছাড়াই অন্ধকারেও সহজে উড়ে বেড়াতে পারে৷ টমি বাদুড়ের এই ক্ষমতা অত্যন্ত সফলভাবে নকল করছেন৷ মুখে শব্দ করেই বুঝতে পারছেন, সামনে পথ খালি আছে কিনা৷ শুধু তাই নয়, বাধা থাকলে সেটি উঁচু না নিচু, কোণ আছে কি না, সেটা সিঁড়ি কিনা, এ সবও বুঝতে পারেন তিনি৷ টমি বলেন, ‘‘মুখে শব্দ করে ‘সোনার' তরঙ্গ ব্যবহার করা আমার কাছে এক মৌলিক পরিবর্তন৷ একা চলাফেরা করতে শিখলাম, অনেক স্বাবলম্বী হয়ে পড়লাম৷ এখন কুকুরকে হাঁটাতে নিয়ে যেতে পারি৷ প্রাচীর থাকলে খুব কাছে চলে যাই না৷ সেটা করলে জামাকাপড়ও খারাপ হয়ে যেতে পারে৷''

প্রত্যেকটি শব্দ কোনো বস্তুর সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে প্রতিফলন ঘটায়৷ বস্তুটি খুব কাছে থাকলে প্রতিফলন দ্রুত ফিরে আসে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান