দুর্নীতি ইস্যুতে জেরবার মনমোহন সিং সরকার
৩০ নভেম্বর ২০১০টু-জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারির তদন্তে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবি নিয়ে ভারতের সংসদে বর্তমানে যে অচলাবস্থা চলছে, তা কাটাতে সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ চেয়ে ১০টি অ-বিজেপি দল আজ তাঁর সঙ্গে দেখা করেএক স্মারকপত্র দেন৷ পরে সিপিআই-এম সাংসদ সীতারাম ইয়েচুরি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘জেপিসি গঠনের দাবি মেনে নিতে সংসদের প্রধান হিসেবে তিনি যেন সরকারকে বলেন৷ রাষ্ট্রপতি প্রতিনিধিদলের বক্তব্য শোনেন৷ আশা করি তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন৷'' সিপিআই-এম নেতা সীতারাম ইয়েচুরির বক্তব্য, ‘‘পুরো প্রশাসনিক ব্যবস্থার ওপর নজরদারি দরকার৷ দুর্নীতির দরুণ যেভাবে প্রশাসনের অপব্যবহার হচ্ছে, তা বন্ধ করতে দরকার হলে নতুন নিয়মবিধির সুপারিশ করতে পারে যৌথ সংসদীয় কমিটি৷ স্বাধীন ভারতে এতবড় আর্থিক কেলেঙ্কারি আর হয়নি৷ কম্পট্রোলার ও অডিটার জেনারেলের রিপোর্ট অনুসারে এর পরিমাণ প্রায় ১লক্ষ ৭৬ হাজার কোটি টাকা৷ এই অর্থে দেশের খাদ্য,শিক্ষা,বাসস্থানের মত মৌলিক সমস্যার উন্নতি করা যেত৷ বড় কথা, জেপিসি দোষীদের শুধু শাস্তি নয়, কীভাবে প্রশাসনিক সিস্টেমটাকে কাজে লাগানো হয়েছে,সেটাকে তুলে ধরার জন্য৷''
রাষ্ট্রপতি ভবনে যাবার আগে সংসদ ভবনে তারা প্রতিবাদ সমাবেশ করেন৷
অন্যদিকে, আজ সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভার স্পীকার মীরা কুমারের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকেও কোন ফল হয়নি৷ সরকার ও বিরোধীপক্ষ যে যার অবস্থানে অনড়৷
বিজেপি সংসদীয় নেতা এস.এস আলুওয়ালিয়া বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রের অধীনে আমরা জেপিসি চেয়েছি৷সেটা না মানা পর্যন্ত আমরা সরকারের সঙ্গে কোনরকম সহযোগিতা করব না৷
পাশাপাশি কমনওয়েলথ গেমসে দুর্নীতির অভিযোগে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো সিবিআই আজ কমনওয়েলথ গেমস আয়োজক কমিটির দুজন শীর্ষ আধিকারিকের বাসভবন ও অফিসে হানা দিয়ে অনেক নথিপত্র আটক করে৷ জোচ্চুরি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে৷ এর আগে আরও তিনজনকে পুলিশী হেফাজতে নেয়া হয়৷এরা সবাই কালমাডির ঘনিষ্ট৷
আমজনতার অভিযোগের আঙুল এখন সরকারের দিকেও৷ বলছে একের পর এক কেলেঙ্কারিতে জেরবার মনমোহন সিং সরকার৷ সেটাকে সামাল দিতে নানা ছল চাতুরির আশ্রয় নিচ্ছে সরকার৷ নাহলে এখনও তদন্তকারি এজেন্সি প্রধান অভিযুক্ত সাবেক টেলিকম মন্ত্রী এ.রাজা বা কমনওয়েলথ গেমসের প্রধান সুরেশ কালমাডিকে কেন জেরা করছেনা?কেন রাজি হচ্ছেনা জেপিসিতে ?
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক