ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি
১৫ মে ২০১৩আইনমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার এবং রেলমন্ত্রী পবন বনসালের অপসারণের পর এবার প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর পদত্যাগের দাবি তুলেছে বিরোধী দল বিজেপি৷ ঐসব দুর্নীতিকাণ্ডে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিরোধী দলগুলি বলেছে, একের পর এক দুর্নীতির দায় প্রধানমন্ত্রী এড়াতে পারেন না৷ সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন তিনি৷
কয়লা বণ্টন দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্ত রিপোর্টে কারচুপির কথা ফাঁস হয়ে যাবার পর, আইনমন্ত্রীকে আড়াল করতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী৷ কারণ ঐ রিপোর্টের বয়ান পালটে দিয়ে আইনমন্ত্রী বাঁচাতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে – এমনটাই অভিযোগ বিরোধী দলের৷ তাই দুর্নীতি ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা কী ছিল, তার ব্যাখ্যা দাবি করেছে বামদল৷
জানা গেছে, আইনমন্ত্রী ও রেলমন্ত্রীকে সরানো নিয়ে সংঘাত বেঁধেছে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর মধ্যে৷ ক্রমশই দূরত্ব বাড়ছে তাঁদের মধ্যে৷ প্রথমদিকে আইনমন্ত্রী এবং রেলমন্ত্রীকে ইস্তফা দিতে নিষেধ করেছিলেন মনমোহন সিং৷ কিন্তু সোনিয়া গান্ধীর চাপে প্রধানমন্ত্রী তা মেনে নিতে বাধ্য হন৷ অর্থাৎ, সরকার প্রধান হয়েও প্রধানমন্ত্রীর এখন ঠুঁটো জগন্নাথ অবস্থা৷ এমনও শোনা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী কী তাঁর মন্ত্রিসভার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবার অধিকার ছেড়ে দিয়েছেন সোনিয়া গান্ধীর হাতে? কংগ্রেস পার্টির একাংশ মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রীর ওপর দলনেত্রীর আস্থা যখন টলে গেছে, তখন নিজেরই চলে যাওয়া উচিত প্রধানমন্ত্রীর৷
সে কারণে কংগ্রেসের দলীয় নেতৃত্বের একাংশের মতে, মনমোহন সিংকে সামনে রেখে ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে নামা কতটা যুক্তিযুক্ত হবে তা ভেবে দেখার সময় এসেছে৷ এক কথায়, প্রধানমন্ত্রী এখন দলের পক্ষে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে পড়ছেন৷ বলা বাহুল্য, কংগ্রেস এইসব জল্পনা অস্বীকার করেছে ৷
প্রধানমন্ত্রীকে বিরোধীদের আক্রমণ থেকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছে দল৷ মনমোহন সিং এবং সোনিয়া গান্ধীর মধ্যে মতপার্থক্যের কথা অস্বীকার করে বলা হয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী এবং সোনিয়া গান্ধীর মিলিত সিদ্ধান্তেই ঐ দুই মন্ত্রীকে সরানো হয়েছে৷ শুধু তাই নয়, ২০১৪ সালের নির্বাচনে মনমোহন সিংকে সামনে রেখে লড়বে দল৷