দুবাই চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা ছবি ‘স্ট্রে বুলেট’
২০ ডিসেম্বর ২০১০১৯৭৫ থেকে ১৯৯০ সময়ে চলা গৃহযুদ্ধের পর লেবাননের সামাজিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়েছে ‘স্ট্রে বুলেট' ছবিটিতে৷ উঠে এসেছে এক তরুণীর প্রেম কাহিনী৷ পিতামাতার পছন্দের পাত্র, নাকি দীর্ঘদিনের প্রেমিককে বেছে নেবেন - এই নিয়ে দোদুল্যমান নায়িকা৷ মূলত সাবেক প্রেমিক হঠাৎ নিরুদ্দেশ হওয়ার পর আবার নতুন করে তাঁদের সাক্ষাতের ফলেই এমন দ্বিমুখী প্রেমের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছেন হাচেমের তৈরি এই তরুণী নায়িকা৷
ছবিটিতে নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন নাদিনে লাবাকি৷ ২০০৭ সালে তৈরি ‘ক্যারামেল' ছবির সফল পরিচালক হিসেবে ইতিমধ্যে বেশ খ্যাতি কুড়িয়েছেন লাবাকি৷ এবার দুবাই উৎসবে স্বর্ণ ‘মুহর' প্রাপ্ত ছবির নায়ক হিসেবে কৃতিত্বের পাল্লা আরো একটু ভারি হলো লাবাকির৷ রবিবার ফরাসি অভিনেত্রী ইসাবেলা হুপার্টের হাত থেকে স্বর্ণ ‘মুহর' গ্রহণ করলেন পরিচালক হাচেম৷ দুবাই উৎসবে নিজের ছবি ‘কোপাকাবানা' নিয়ে হাজির হয়েছিলেন হুপার্ট৷ সেই সুবাদে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মঞ্চ শোভিত করেছেন এই ফরাসি চলচ্চিত্র তারকা৷
বিচারকদের বিবেচনায় বিশেষ পুরস্কার পেল জর্ডানীয় পরিচালক মোহাম্মাদ আল-হাশকির ছবি ‘ট্রানজিট সিটিজ'৷ দুবাই উৎসবে সেরা অভিনেতা এবং অভিনেত্রীর পদক ছিনিয়ে নিলেন মাগেদ আল-কিদওয়ানি এবং বুশরা৷ মিশরের সমাজ ব্যবস্থায় যৌন হয়রানির চিত্র নিয়ে তৈরি ছবি ‘সিক্স, সেভেন, এইট' ছবিতে অভিনয় করে এই সম্মানজনক পদক পেলেন তাঁরা৷ মিশরীয় এই ছবির পরিচালক মোহামেদ দিয়াব৷
দুবাই উৎসবে আজীবন সম্মাননা পদক পেয়েছেন মালিয়ান পরিচালক সুলেমান সিসে৷ আরব ছবির ধারায় মিশর, লেবানন, সিরিয়া, ইরাক এবং মরোক্কোর মোট ১২টি ছবি ছিল প্রতিযোগিতার তালিকায়৷ এ বছর সপ্তমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো দুবাই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব৷ ৫৭টি দেশের মোট ১৫৭ টি ছবি দেখানো হয়েছে এবারের উৎসবে৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম