দুপুরে যা খেতে ভালোবাসেন জার্মানরা
ক্যাটারিং কোম্পানি ‘কম্পাস’ জার্মানদের কাছে জানতে চেয়েছিল, দুপুরে, অর্থাৎ মধ্যাহ্নভোজে তাঁদের প্রিয় খাবার কী কী? সেই উত্তরের ভিত্তিতেই তৈরি করা হয়েছে এই ছবিঘরটি৷
সবচেয়ে প্রিয় শ্নিটসেল
দুপুরে জার্মানরা শ্নিটসেল খেতে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন৷ কম্পাস গ্রুপের সমীক্ষা থেকে জানা গেছে এ তথ্য৷ এমনকি ডয়চে ভেলের ক্যান্টিনে, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ দুপুরের খাবার খেতে যান, সবচেয়ে বেশি চাহিদা জার্মান এই ডিশটিরই৷
জার্মানদের ‘সসেজ’
কারিভুর্স্ট – ব্রাটভুর্স্ট, যা টমেটো কেচাপ এবং ‘কারি’ পাউডার দিয়ে পরিবেশন করা হয় – মধ্যাহ্নভোজে এটা জার্মানদের দ্বিতীয় পছন্দ৷ ডয়চে ভেলে ক্যান্টিনের প্রধান হ্যারমান ম্যুলার বলেছেন, ‘‘আমরা নিজস্ব পছন্দ না হলেও, এটা খদ্দেরদের জন্য তৈরি করতে হয়৷’’ কারিভুর্স্টের চাহিদা খুব বেশি বলে জানিয়েছেন তিনি৷
জনপ্রিয় আমদানি
ইটালির ‘স্প্যাগেটি বোলোনেসে’ রয়েছে তালিকার তৃতীয় অবস্থানে৷ বলা বাহুল্য, জার্মান ক্যান্টিনগুলোতে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ডিশের মিশ্রণ দেখা যায়৷ ‘স্প্যাগেটি বোলোনেসে’ অবশ্য জার্মানির সাধারণ দোকান বা সুপারমার্কেটগুলোতেও ‘ফ্রোজেন ফুড’ হিসেবে বা ঠান্ডা অবস্থায় পাওয়া যায়৷
মাংসও পছন্দ অনেকের
জার্মানরা মাংস খেতে পছন্দ করেন৷ আর তাই হ্যামবার্গার এবং মিটবলের অবস্থান চতুর্থ৷ ট্যুরিঙ্গেন এবং ন্যুরেমব্যার্গের সসেজের সঙ্গে আলু ভর্তা – এই ডিশটির অবস্থান পঞ্চম৷ আর ‘চিকেন সিজার’-এর অবস্থান ষষ্ঠ৷
নিরামিষাশীদের জন্য
পিৎসা ও পাস্তার অবস্থান যথাক্রমে সপ্তম এবং অষ্টম৷ শাক-সবজি (মাংসও দেয়া যায়) সেদ্ধ করে তৈরি ‘আইনটফ’ নামের একটি খাবারও বেশ জনপ্রিয়৷ জার্মান ভেজিটেরিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান সেবাস্টিয়ান জ্যোশ জানান, জার্মান ক্যান্টিনগুলোর ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ডিশ ভেজিটেরিয়ান বা ভেগানদের জন্য উপযুক্ত৷
বিশাল ব্যবসা
প্রতি কার্য দিবসে গড়ে ১৩ মিলিয়ন মানুষ জার্মান ক্যান্টিনগুলোতে দুপুরের খাবার খান, জানান জ্যোশ৷ প্রতিদিন জার্মানির ক্যান্টিনগুলোতে প্রায় ৩৩ মিলিয়ন ইউরো ব্যয় করে মানুষ৷ ক্যান্টিনের ব্যবসা তাই রমরমা এ জার্মনিতে৷