1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুই সন্তানের বিনিময়ে ঋণ শোধের চেষ্টা

৭ জুন ২০১০

ঋণের বোঝা মেটাতে দুই সন্তানকে পাওনাদারদের হাতে তুলে দিয়ে ফেঁসে গেলেন মেক্সিকান পিতা৷ তবে তিনি তা স্বীকার না করে, বলে আসছিলেন, দুই শিশু অপহৃত হয়েছে৷ কিন্তু গোয়েন্দাদের সামনে সত্য স্বীকার করতেই হয়েছে এই নিষ্ঠুর পিতাকে৷

https://p.dw.com/p/NjtB
মেক্সিকো সিটি (ফাইল ছবি)ছবি: AP

মেক্সিকোর কৌঁসুলিরা জানিয়েছেন, জ্যাভিয়ের কোভারুবিয়াস গোয়েন্দাদের সামনে আর চাপা রাখতে পারেননি প্রকৃত ঘটনা৷ গোয়েন্দারা যখন ঘটনার বিভিন্ন সূত্র ধরে প্রমাণ তুলে ধরেন যে, কোভারুবিয়াসের বানানো গল্প মিথ্যা, তখন শেষ পর্যন্ত তিনিও স্বীকার করেন তাঁর অপরাধ কর্মের কথা৷ জানা গেছে, ২৫ হাজার পেসো অর্থাৎ এক হাজার নয় শ' পঁচিশ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ ঋণ শোধের জন্যই কোভারুবিয়াস দুই সন্তানকে তুলে দেন পাওনাদারদের হাতে৷

আর এরপর ভান করতে থাকেন যে, গত ১৮ মে মেক্সিকো শহরের টেপিটোর রাস্তা থেকে তাঁর দুই সন্তানকে অপহরণ করা হয়েছে৷ এমনকি কোভারুবিয়াসের গল্পের প্রেক্ষিতে টেপিটোর মানুষ ঐ এলাকায় আরো নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে৷ শুধু তাই নয়, বিক্ষোভের এক পর্যায়ে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে টেপিটোতে৷ এ অবস্থায় পুলিশ যখন তাঁকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে হারানো সন্তানদের সম্পর্কে, তখনই তিনি আত্মগোপন করেন৷ তবে তাতেও রক্ষা হয়নি মাত্র ২০ বছর বয়সি এই তরুণ পিতার৷ হিডালগো রাজ্য থেকে গ্রেপ্তার হন কোভারুবিয়াস৷

তাঁর এই বানানো গল্প যে মিথ্যা তার সূত্র পাওয়া যায় প্রথমত ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা থেকে৷ কারণ তাতে দেখা গেছে, তাঁর গল্পে উল্লেখ করা সময়ে আদৌ তিনি ঐ এলাকায় যাননি৷ আবার ডাক্তারি পরীক্ষাতেও ধরা পড়ে যে, নিজের দেহের ক্ষতটি আসলে নিজেই সৃষ্টি করেছিলেন কোভারুবিয়াস৷ তাঁর সামনে গোয়েন্দারা যখন এসব প্রমাণ হাজির করেন, তখন কোভারুবিয়াস স্বীকার করতে বাধ্য হন যে, প্রকৃতপক্ষে তাঁর দুই সন্তান আইসিস এবং ডারিয়েনকে মেক্সিকো শহরের এক মহিলার হাতে তুলে দেন তিনি৷ বিনিময়ে তিনি মুক্তি পান ঐ ঋণের বোঝা থেকে৷

পুলিশ জানিয়েছে যে, নিজের স্ত্রী যেন তাঁর ঋণের কথা জানতে না পারে সেজন্যেই কোভারুবিয়াস এই গল্প বানিয়েছিলেন বলে স্বীকার করেন তিনি৷ পুলিশ আরো জানায়, সন্তান দুজনকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ তাই আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কোভারুবিয়াসকে আটক রাখা হয়েছে৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম