1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দীর্ঘ মেয়াদী সামাজিক নিরাপত্তা আইন অসাংবিধানিক

১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০

জার্মানির সাংবিধানিক আদালতের এক রায়ে দেশে বিদ্যমান দীর্ঘ মেয়াদী সামাজিক নিরাপত্তা আইনটিকে অসাংবিধানিক হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে৷ মঙ্গলবার এই রায় প্রদান করে আদালত৷ ফলে সুবিধা প্রাপ্তদের সংখ্যা সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে হবে৷

https://p.dw.com/p/LxbQ
ছবি: bilderbox.de

সুবিধা প্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন বয়স্ক এবং শিশুরা৷

আদালতের প্রধান বিচারক হান্স-ইয়োরগেন পাপিয়ার জানান, বর্তমানে যে সুযোগ সুবিধা দেয়া হচ্ছে তা খুবই কম৷ তিনি বলেন, বয়স্ক এবং ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য নির্ধারিত সুযোগ সুবিধা সংবিধানের শর্তপূরণে ব্যর্থ হয়েছে৷

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর আওতায় বর্তমানে বয়স্ক সুবিধাপ্রাপ্তরা জন প্রতি মাসে ভাতা পাচ্ছেন ৩৫৯ ইউরো এবং শিশুরা পাচ্ছে ২৮৭ ইউরো করে৷

আদালতের রায়ে এই বছর শেষ হবার আগেই জার্মানির ৬৭ লাখ সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধাপ্রাপ্তদের জন্য নতুন একটি নীতিমালা প্রনয়নের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে৷ বিচারক পাপিয়ার জানান, তথাকথিত ‘হার্টস ফোর' সুবিধার আওতায় যা দেয়া হচ্ছে তা স্বচ্ছ নয় এবং সরকারকে অবশ্যই এই বছরের মধ্যে বিষয়টিকে নতুন করে সাজাতে হবে৷ যে আইনটি প্রনয়ন করা হয়েছে তাতে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে৷ তা ছাড়া সেখানে সর্বনিম্ন সম্মানজনক আয়ের বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়নি৷ বিচারক বলছেন, সঠিক তধ্য উপাত্ত এবং চাহিদার উপর ভিত্তি করেই এই বরাদ্দ দিতে হবে৷

জানা যাচ্ছে, আদালতের এই রায় বাস্তবায়ন করতে হলে বেকার ভাতা বা সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধাদি বাড়াতে গেলে কয়েক বিলিয়ন ইউরো খরচ বাড়বে সরকারের৷ জার্মান নাগরিকদের মধ্যে ৬ দশমিক সাত মিলিয়ন জন সরকারের এই ভাতার উপর নির্ভরশীল৷

আদালতের এই রায়কে রাজনীতিবিদরা ভালো মনেই গ্রহণ করেছেন বলে জানা যাচ্ছে৷ জার্মানির পরিবার মন্ত্রী ক্রিস্টিনা ক্যোলার বলেছেন, এই রায়ের ফলে স্বচ্ছতার বিষয়টি যেমন স্পষ্ট হয়েছে, একই সঙ্গে যে সকল পরিবার এবং শিশুরা এই তহবিলের উপর নির্ভরশীল, তাদের আসল খরচের প্রয়োজনের বিষয়টিও নিশ্চিত করা সম্ভব হবে৷ তিনি বলেন, রাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীল পরিবারের জন্য এটা একটি যোগ্য রায়৷

বর্তমান কাঠামোতে প্রতি মাসে বয়স্ক ভাতা হিসেবে জনপ্রতি ৩৫৯ ইউরো করে প্রদান করা হয়৷ তবে ১৮ বছর পর্যন্ত শিশু এবং কিশোরদের চাহিদার বিষয়টি বিবেচনা না করেই অর্থ বরাদ্দ করা হয়৷

২০০৫ সালে তিনটি পরিবার এই আইনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা ঠুকে দেয়৷ বেশ কয়েক বছর শুনানী চলে দুইটি নিম্ন আদালত ঘুরে এসে চূড়ান্ত রায়ের জন্য তা পাঠানো হয় সাংবিধানিক আদালতে৷

প্রতিবেদক: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম