চার গুণ বেতনবৃদ্ধি!
৪ ডিসেম্বর ২০১৫দিল্লির রাজ্য সরকার এই প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠিয়েছে৷ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের তুলনায় এই এমএলএ-রা বেশি বেতন পাবেন৷ রাজ্য বিধানসভায় এই প্রস্তাব এত দ্রুত অনুমোদিত হওয়ায় দলের নেতা ও দিল্লির মূখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজেই কটাক্ষ করেছেন৷
বিরোধী কংগ্রেস দলের নেতা অজয় মাকেন শ্লেষ-মাখানো এক টুইটে লিখেছেন, যে দলের নাম ‘আম আদমি', ক্ষমতায় আসার এক বছরের মধ্যে তারা নিজেদের বেতন বাড়িয়ে নিলো৷
এমন বিতর্কিত উদ্যোগের পক্ষে-বিপক্ষে অনেক যুক্তি শোনা যাচ্ছে৷ একদল বলছে, মূল্যবৃদ্ধির কারণে জনপ্রতিনিধিদের উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে৷ সোজা পথে, অর্থাৎ বেতন বা ভাতার মাধ্যমে চাহিদা পূরণ না করতে পারলে বাধ্য হয়ে দুর্নীতির পথ বেছে নিতে হয় অনেককেই৷ অতএব স্বচ্ছভাবে বেতন বাড়ালে ঘুস নেবার প্রবণতা কমে যাবে, কালো টাকার প্রকোপ কমবে৷
বলা বাহুল্য, এমন বিতর্কিত উদ্যোগের পর সমালোচনার ঝড় উঠেছে৷ কেউ বলছেন, এমন বেতনের লোভে গুণ্ডা-বদমায়েশরা নিজেদের পেশা ছেড়ে এমএলএ হবার দৌড়ে শামিল হবেন৷
দেশের প্রধানমন্ত্রী ও দিল্লি বিধানসভার সদস্যদের মধ্যে বেতনের তুলনা করেছেন এক ব্যবহারকারী৷
এই বাড়তি বেতনের ব্যয়ভার সাধারণ মানুষের উপর চাপানো হবে বলে মনে করেন সঞ্জয় সিং৷ তাঁর মতে, এর মাধ্যমে ভারতীয় গণতন্ত্রে নতুন ধরনের দুর্নীতি চালু হলো৷
সংকলন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ