দিল্লির কাছে অ্যাম্বুলেন্স বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু
২৬ মে ২০১১বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রক দপ্তর অ্যাম্বুলেন্স বিমান দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য ৬ সদস্যের এক বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে৷ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিম জাইদি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় এই তদন্ত কমিটি নিয়োগ করেছে৷ প্রাথমিক তদন্তে দমকা ঝড় বা বিমানের যান্ত্রিক গোলযোগ সম্ভাব্য কারণ বলে মনে করা হচ্ছে৷ বেসামরিক বিমান চলাচল দপ্তরের নির্দেশালয়ের ইন্সপেক্টর অফ এনকোয়ারি দুর্ঘটনা স্থল থেকে বিমানের ধ্বংসাবশেষের টুকরো ও অন্যান্য নমুনা সংগ্রহ করেছেন৷
গতকাল ভারতীয় সময় রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ পাটনা থেকে গুরুতর অসুস্থ রোগী নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স বিমানটি দিল্লির একটি হাসপাতালে আসছিল৷ দিল্লি বিমানবন্দরে নামার মিনিট ১৫ আগে বিমানটি ফরিদাবাদের আবাসিক এলাকার একটি দোতলা বাড়ির ওপর ভেঙে পড়ে৷ বিমানে ছিল রোগির আত্মীয়পরিজন ও দুজন পাইলট নিয়ে ৯জন৷ মারা যায় বিমানের সাতজন এবং যে বাড়িতে ভেঙে পড়ে সেই বাড়ির তিনজন মহিলা৷ মোট ১০জন৷ জনৈক প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ, বিমানটি ছাদে আছড়ে পড়ে, প্রচণ্ড বিস্ফোরণ হয়, আগুন ধরে যায়৷ সুইস-নির্মিত এই বিমানটি ছিল এক ইঞ্জিনের টার্বো৷ এয়ার চার্টার সার্ভিস কোম্পানি চালাতো এই বিমান অ্যাম্বুলেন্স৷
হালে পরপর কয়েকটি বিমান দুর্ঘটনার পর জনমনে বেসামরিক বিমান চলাচলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ তদন্ত কমিটিতে বাইরের নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের সামিল করার দাবি উঠেছে৷ কারণ বিমা কোম্পানির ক্ষতিপূরণে দিকে লক্ষ্য রেখে তদন্ত রিপোর্টে হেরফেরের অভিযোগ উড়িয়ে দেয়া যায় না বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা৷
অন্যদিকে, গত কয়েক মাসে জাল কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স কেলেঙ্কারিতে পুলিশ গ্রপ্তার করে ১৫জন পাইলট, বেসামরিক বিমান চলাচল দপ্তরের তিনজন আধিকারিক এবং তিনজন দালালকে৷ পাইলট পরীক্ষার মার্কশিট জাল করে এরা লাইসেন্স জোগাড় করেন৷ এর প্রেক্ষিতে সরকার একবছরের তিন হাজার কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স নতুন করে পরীক্ষা করছে৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক