1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দল বদলের হ্যাট্রিক করলেন সুব্রত

৫ মে ২০১০

পশ্চিমবঙ্গের পুরভোটে তৃণমূল কংগ্রেস এবং কংগ্রেসের জোট পরিকল্পিতভাবেই করতে দেওয়া হল না৷ সি পি এম-এর মদতে এই ঘটনা ঘটল৷ কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার সময় একথাই বললেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়৷

https://p.dw.com/p/NF8U
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগ দিলেন সুব্রতছবি: UNI

বিরোধী জোট হল না সিপিএম-এর মদতে, সুপরিকল্পিত ভাবে৷ বুধবার সন্ধ্যায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ডাকা সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ তুললেন দলত্যাগী সুব্রত মুখোপাধ্যায়৷ এদিনই আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন সুব্রত৷ বললেন, তিনি কংগ্রেসের সমস্ত আধিকারিক পদ এবং সদস্যপদ ছেড়ে দিয়ে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সিপিএম-এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন৷ দল ছাড়ার কারণ হিসেবে সুব্রত জোট না হওয়াকেই দায়ী করেছেন৷ বলেছেন, তিনি চেয়েছিলেন পুরভোটের আগে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট হোক৷ কংগ্রেস সাংগঠনিকভাবে আরও মজবুত হোক৷ কিন্তু জোট হল না তা নয়, জোট করতে দেওয়া হল না৷ সুব্রত বলেন, এটা পরিকল্পনামাফিক জোট করা হল না৷ আমার প্রতিবাদটা সেখানেই৷ কাজেই জোট হল না, এটা যদি হত, তাহলে একটা স্বতন্ত্র ব্যাপার হত৷ কিন্তু জোট পরিকল্পনামাফিক করা হল না, সেটা আমি জানি৷ সেটাও আমার চলে আসার অন্যতম মুখ্য কারণ৷

সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের এই প্রথম দলত্যাগ নয়৷ এর আগেও তিনি দল ছেড়ে এসেছিলেন তৃণমূলে, পুরভোটে জিতে কলকাতার মেয়র হয়েছিলেন৷ কিন্তু পরের পুরভোটে তৃণমূল নেত্রী যেহেতু তাঁকেই ফের মেয়র করতে রাজি হননি, দল ছেড়ে বেরিয়ে প্রথমে আলাদা রাজনৈতিক মঞ্চ, পরে সেই ভাঙা দল নিয়ে আবার কংগ্রেসেই ফিরে যান৷ এবার তাঁর দল বদলের হ্যাটট্রিক হল৷ রাজনৈতিক মহলের অনেকেই বলছেন, তৃণমূল যদি আসন্ন বিধানসভা ভোটে জিতে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসে, তাহলে নিশ্চিত মন্ত্রিত্ব, অথবা তৃণমূলের টিকিটে রাজ্যসভার সদস্যপদ, সুব্রত-র পরবর্তী লক্ষ্য সেটাই৷ সুব্রত নিজে যদিও বলছেন অন্য কথা৷ তাঁর বক্তব্য, এই জোট তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি ছিল না৷ কংগ্রেসেরও দাবি ছিল না৷ এই জোট এবার মানুষের দাবি ছিল৷ কাজেই জোট না হওয়াটা জনবিরোধী কাজ হয়ে গেল৷

প্রদেশ কংগ্রেস জোর গলায় বলছে, সুব্রত দল ছেড়ে যাওয়ায় কোনও ক্ষতি হবে না৷ এদিকে তৃণমূলের অন্দরমহলেও চাপা গুঞ্জন আছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের এই যাওয়া আসা নিয়ে৷

প্রতিবেদন: শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক