1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দক্ষিণ সুদানে সশস্ত্র সংঘর্ষ: ৫৫ জন নিহত

২৪ এপ্রিল ২০১১

সুদানে সেনাবাহিনী এবং বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষে ৫৫ জন নিহত হয়েছে৷ দক্ষিণাঞ্চলে সুদান পিপলস লিবারেশন আর্মি এসপিএলএ এবং সাবেক মিলিশিয়া নেতা গ্যাব্রিয়েল ট্যাং-এর বন্দুকধারীদের মধ্যে শনিবারের এই সংঘাত তিন ঘণ্টা স্থায়ী হয়৷

https://p.dw.com/p/113FO
ফাইল ছবিছবি: AP

রবিবার একজন সরকারি কর্মকর্তা এই খবর দিয়েছেন৷ সংঘর্ষে কয়েকশ ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে৷ সংঘর্ষ হয়েছে জংলেই অঞ্চলে৷ শনিবার সকালে প্রথম গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে কালদাক অঞ্চলে, তারপরে সেখানে প্রচণ্ড লড়াই শুরু হয়৷ উপের নিলে প্রদেশের তথ্যমন্ত্রী পেটার লাম বোথ প্রাদেশিক রাজধানী মালাকাল থেকে জানিয়েছেন, ‘‘গ্যাব্রিয়েল ট্যাং-এর প্রায় ৫০ জন সৈন্য এবং তার জেনারেলদের অন্তত ৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন৷''

তবে এসপিএলএ-র কেউ প্রাণ হারিয়েছেন কিনা তা জানা না গেলেও, বোথ বলছেন, বহু আহত সৈন্যকে চিকিৎসার জন্যে মালাকালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ তিনি এএফপিকে জানিয়েছেন, এসপিএলএ-র ৩৪ জন সৈন্য এবং ৪৩ জন বেসামরিক ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷

জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, গত জানুয়ারি মাস থেকে এই পর্যন্ত লড়াইয়ে ৮শ-রও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে৷ গৃহহীন হয়েছে ৯৪ হাজার মানুষ৷ দেশটির উত্তর এবং দক্ষিণের মধ্যে ১৯৮৩ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত গৃহযুদ্ধ চলাকালে খার্তুম পন্থী মিলিশিয়াদের নেতৃত্ব দেন ট্যাং৷ বোথ জানান, ট্যাং-এর সৈন্যরা জঙ্গলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তবে রবিবার লড়াইয়ের কোন খবর পাওয়া যায়নি৷ বোথ আরো বলেন, ‘‘তবে ট্যাং-এর সম্পর্কে সঠিক কোন তথ্য আমরা জানি না, তবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি তার বাহিনীর সঙ্গেই আছেন৷''

ফেব্রুয়ারিতেও মালাকালের লড়াইয়ে ট্যাং-এর বাহিনী জড়িত ছিল৷ এই সহিংসতার ফলে উত্তরাঞ্চলের ১৩০টি তেল শিল্পের কর্মীদের সরিয়ে নিয়ে তেল শিল্পগুলো খালি করে দেওয়া হয়েছে৷ এছাড়া এই সহিংসতা বেসামরিক লোকজনের নিরাপত্তার ব্যাপারে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে৷

এদিকে উপের নিলে প্রদেশে গত মার্চের প্রথম দিকের লড়াইয়ে বেসামরিক জনগণের মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্যে সেনাবাহিনী এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠী উভয় পক্ষকে দায়ী করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ৷ গত সপ্তাহে তারা ঐ অভিযোগ তুলে৷

প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই