1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছে উ: কোরিয়া

২৬ মে ২০১০

দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করছে উত্তর কোরিয়া৷ নৌ বাহিনীর একটি জাহাজকে টর্পেডোর আঘাতে ডুবিয়ে দেয়া হয়েছে সৌলের এমন অভিযোগের প্রতিবাদেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিয়ংইয়ং৷

https://p.dw.com/p/NX2J
সীমান্তে প্রস্তুত দক্ষিণ কোরিয়ার সেনারাছবি: AP

গত মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয় নৌবাহিনীর যে জাহাজটি ডুবে গিয়েছিল, যাতে প্রাণ হারিয়েছিল ৪৬ জন নৌ সেনা, সেই ঘটনার তদন্ত করা হয় আন্তর্জাতিক পরীক্ষক দিয়ে৷ গত সপ্তাহে প্রকাশ করা হয় তদন্ত প্রতিবেদনটি, যেখানে স্পষ্টত বলে দেয়া হয় জাহাজটি ডুবেছে উত্তর কোরিয়ার টর্পেডোর আঘাতে৷ মূলত এরপরেই দুই দেশের উত্তেজনা বাড়তে থাকে৷ আগুনে ঘি ঢালার মত অপর বিষয়টি হয়েছে পীত সাগরে মার্কিন সেনাদের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর যৌথ মহড়ার ঘোষণা৷

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার পরিবেশিত খবরে বলা হয়েছে, কোরিয়ার শান্তিপূর্ণ পুনরেকত্রীকরণ বিষয়ক রাষ্ট্রীয় কমিটি বলেছে, তাদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কোরিয়ার জাহাজ ডোবানোর অভিযোগ যুদ্ধ ঘোষণার সামিল৷ তবে সম্পর্ক ছিন্ন করার সঙ্গে সঙ্গে দুই কোরিয়ার সীমান্তে যৌথ একটি কারখানায় যত দক্ষিণ কোরিয় নাগরিক কাজ করতো, তাদের সকলকে বহিস্কার করার কথাও জানিয়েছে পিয়ংইয়ং৷

Streit zwischen Nord- und Südkorea nach einem Schiffsuntergang
এই সেই ‘উত্তর কোরিয়’ টর্পেডো, যেটি আঘাত করেছিল দক্ষিণ কোরিয় জাহাজটিকেছবি: AP

এই ঘোষণার পর কি প্রতিক্রিয়া সৌলের? উত্তরটি এসেছে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয় রাষ্ট্রদূতের কাছ থেকে৷ তাঁর কথায়, পিয়ংইয়ং এটা করবে, তা তাঁরা আগেই বুঝেছিলেন৷ তবে তিনি আবারো তাঁর সরকারের কথার সঙ্গে সুর মিলিয়ে, উত্তর কোরিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়ে, জাহাজ ডুবিয়ে দেয়ার ঘটনায় ক্ষমা চাইতে বলেছেন৷ রাষ্ট্রদূত হান ডুক সো বললেন, তারাও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সকল ধরণের সম্পর্ক স্থগিত করতে যাচ্ছেন৷ তবে তাঁর আশঙ্কা যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাদের ‘ডুবোজাহাজ অভিযান' নামক যে মহড়া শুরু হচ্ছে, তাতে উত্তর কোরিয়া আবার হামলা করতে পারে৷

চীন সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন দুই কোরিয়ার এই সংকট সমাধানে তাঁর দেশ এবং চীন একসঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন৷ বেইজিংয়ে চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে ব্যাপক আলোচনার পর তিনি একথা বলেন৷ চীনকে বলা হয় উত্তর কোরিয়ার প্রধান মিত্র দেশ৷ অন্যদিকে, আজই হিলারি উড়ে যাবেন সৌলের দিকে৷ সেখানেই আলোচনা হবে পরবর্তী করণীয় নিয়ে৷ বলা হচ্ছে, কি করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়, সেটিই হবে প্রধান হিলারির প্রধান আলোচ্য৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী