1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দক্ষিণ কোরিয়া সফরে চীনের প্রধানমন্ত্রী

২৮ মে ২০১০

জাহাজডুবির ঘটনা নিয়ে দুই কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে৷ দক্ষিণ কোরিয়া চায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়াকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে৷ কিন্তু বিপত্তি চীন৷

https://p.dw.com/p/NcFs
ছবি: AP

দক্ষিণ কোরিয়াকে সমর্থন না দিলেও শুক্রবার থেকে সেদেশে সফর শুরু করেছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাও৷ এই সফরের শুরুতেই জিয়াবাও কোরিয়া অঞ্চলের শান্তি বিঘ্নিত করে – এমন কোন হুমকির সমালোচনা করেন এবং একইসঙ্গে জাহাজডুবির ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়ার বেদনা অনুভব করেন৷

তবে এই ঘটনার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সম্পৃক্ততা নিয়ে চীন এখনই কোন মন্তব্য করতে রাজি নয়৷ বরং চীন নিজস্ব অনুসন্ধানের ভিত্তিতে এই বিষয়ে তাদের মতামত জানাবে৷ জিয়াবাও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিয়ুং বাককে তাঁর দেশের এই অবস্থানের কথা জানিয়েছেন৷

এর আগে, টর্পেডোর আঘাতে যুদ্ধজাহাজ ডুবে যাওয়ায় ৪৬ নাবিকের মৃত্যুর পর, দক্ষিণ কোরিয়া চীনের কাছে বারবার সমর্থন চাইলেও তা এখনো পাওয়া যায় নি৷ আপাতত যা মনে হচ্ছে তাতে, চীন তার মিত্র উত্তর কোরিয়া বিরোধী কোন কিছু করবে না৷ আবার দক্ষিণ কোরিয়ার জাহাজ যারা ডুবিয়েছে তাদেরকে রক্ষা করাও চীনের উদ্দেশ্য নয় বলে জানিয়েছেন জিয়াবাও৷ তাই, চীনের সমর্থনের বিষয়টি এখন বেশ কূটনৈতিক বেড়াজালে আটকে আছে৷

এদিকে, শুক্রবার হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়া নিরাপত্তা পরিষদে কোন অভিযোগ নিয়ে গেলে তার প্রতি সমর্থন জানাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপান৷ এই বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়ুকিও হাতোয়ামার টেলিফোনে কথা হয়েছে৷ দুই নেতাই কোরিয়ার শান্তি ফিরিয়ে আনতে সহযোগিতায় আগ্রহী৷ তবে এখানে বলা প্রয়োজন, চীনের সমর্থন ছাড়া জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়াকে শাস্তি প্রদান সম্ভব নয়৷ আর তাই, চীনের ভূমিকা এখনো খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন