1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দক্ষিণ আফ্রিকায় ফুটবল এখনো কৃষ্ণাঙ্গদেরই খেলা

৮ মে ২০১০

দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদের অভিশাপ ঘুচিয়ে জাতীয় চেতনা গড়ে তুলতে নেলসন ম্যান্ডেলা রাগবি'কে হাতিয়ার করেছিলেন৷ কিন্তু কৃষ্ণাঙ্গরা রাগবি'কে আপন করলেও ফুটবল সম্পর্কে শ্বেতাঙ্গদের আগ্রহ আজও সীমিত৷

https://p.dw.com/p/NJIC
সব শ্রেণীর কাছে ফুটবল সম্পর্কে আগ্রহ ছড়িয়ে দিতে বিশ্বকাপ হয়তো সহায়ক হতে পারেছবি: AP

বিশ্বকাপ ফুটবলের জন্য প্রস্তুত দক্ষিণ আফ্রিকা৷ আফ্রিকা মহাদেশের মাটিতে এই প্রথম বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে৷ ফলে বিপুল উৎসাহের সৃষ্টি হয়েছে৷ স্টেডিয়ামে বসে বিশ্বমানের ফুটবল দেখার রোমাঞ্চই আলাদা৷ কিন্তু দর্শকদের আসনে কৃষ্ণাঙ্গদের আধিক্যই বেশি৷ ‘অ্যাপারথাইড' বা বর্ণবৈষম্য ব্যবস্থার অবসানের প্রায় ১৬ বছর পরেও ফুটবল এখনো যেন শুধু কৃষ্ণাঙ্গদেরই পছন্দের খেলা রয়ে গেছে৷

Flash-Galerie 20. Jubiläum der Freilassung Nelson Mandelas
দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদের অভিশাপ ঘুচিয়ে জাতীয় চেতনা গড়ে তুলতে নেলসন ম্যান্ডেলা রাগবি'কে কীভাবে হাতিয়ার করেছিলেন, ‘ইনভিক্টাস’ ছবিতে সেই ঘটনা তুলে ধরা হয়েছেছবি: AP

দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রীড়া সাংবাদিক জো লাতাকগোমো দেশের ফুটবলের ইতিহাস নিয়ে একটি বই লিখেছেন৷ তিনি মনে করেন, বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে ফুটবল সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা বেড়ে গেছে ঠিকই, কিন্তু শ্বেতাঙ্গ পরিবারের সন্তানদের এখনো ফুটবল খেলতে উৎসাহ দেওয়া হয় না৷ জাতীয় দলে ম্যাথিউ বুথ'এর মত হাতে গোনা কয়েকজন শ্বেতাঙ্গ ফুটবলার রয়েছেন৷ বুথ'এর মতে, দেশে ফুটবল সমর্থকদের একটা নতুন প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে৷

অথচ দক্ষিণ আফ্রিকায় চিরকাল এমনটা ছিল না৷ ১৯৬০-এর দশকে কেপ টাউনের ‘সিটি ফুটবল ক্লাব' ও ‘হেলেনিক' ক্লাবের হাজার হাজার শ্বেতাঙ্গ সমর্থক ছিল৷ ডার্বান শহরের সেরা ফুটবল খেলোয়াড়রা ছিল ভারতীয় বংশোদ্ভূত৷ বর্তমানে ফুটবল জগতে মূলত কৃষ্ণাঙ্গদেরই আধিপত্য দেখা যায়৷ অ্যাপারথাইড জমানায় সরকারই ফুটবলকে কৃষ্ণাঙ্গদের বসতির মধ্যে সীমাবদ্ধ করে রেখেছিল৷ শ্বেতাঙ্গরা তখন থেকেই রাগবি ও ক্রিকেট নিয়ে মেতে রয়েছেন৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: জাহিদুল হক