1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দক্ষিণের মহড়ার জবাবে সংযত উত্তর কোরিয়া

২১ ডিসেম্বর ২০১০

টানটান উত্তেজনার মধ্যে সামরিক মহড়া চালালো দক্ষিণ কোরিয়া৷ এটিকে সউলের ‘দায়িত্বহীন’ উস্কানি বলে মন্তব্য করেছে পিয়ংইয়ং৷ তবে এখনই কোন পাল্টা জবাব থেকে বিরত রয়েছে উত্তর৷ এদিকে, পরমাণু কর্মসূচির ব্যাপারেও বেশ নমনীয় পিয়ংইয়ং৷

https://p.dw.com/p/Qh5h

কোরিয়া উপদ্বীপের উত্তেজনা নতুন কিছু নয়৷ প্রায় সময়ই নানা বাহানায় একে অপরকে দোষারোপ এবং হুমকি দিয়ে চলেছে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া৷ তবে ২৩ নভেম্বর দক্ষিণের দ্বীপ ইয়নপিয়ং-এ উত্তরের গোলা হামলার পর পরিস্থিতি বেশ খারাপের দিকে যাচ্ছিল৷ উত্তরকে শক্ত জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয় সউল৷ পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য হুমকি-ধামকি দিতে থাকে পিয়ংইয়ং৷ এর মধ্যেই দক্ষিণ-মার্কিন যৌথ সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হয় পীত সাগরে৷ কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট নয় দক্ষিণের নেতারা৷ ফলে সোমবার আবারও সামরিক মহড়া চালিয়েছে দক্ষিণ৷

উত্তরের পক্ষ থেকে হামলার আশঙ্কায় সতর্কাবস্থায় ছিল দক্ষিণের সামরিক বাহিনী৷ টানা দেড় ঘণ্টার সামরিক মহড়ার আগেই ইয়নপিয়ং এর স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছিল দক্ষিণ৷ তবে আন্তর্জাতিক মহলের আহ্বানের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে এখন পর্যন্ত উত্তর সংযত রয়েছে বলে মনে হচ্ছে৷ পিয়ংইয়ং দক্ষিণের মহড়াকে ‘বারুদ নিয়ে শিশুসুলভ খেলা' বলে মন্তব্য করলেও এখনই সামরিক জবাব দেয়নি তারা৷ বরং উত্তরের বার্তা সংস্থা সামরিক প্রধানের বরাত দিয়ে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলেছে, এমন নিন্দনীয় প্রত্যেক সামরিক মহড়ার পাল্টা জবাব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করছে না উত্তরের সেনা বাহিনী৷ ফলে আপাতত পরিস্থিতি উন্নতির পথে বলে আশাবাদী বিশ্লেষকরা৷

এদিকে, কোরিয়া উপদ্বীপের উত্তেজনা হ্রাসে সেখানে অনানুষ্ঠানিক সফরে ছুটে গিয়েছিলেন মার্কিন গভর্নর এবং কূটনীতিক বিল রিচার্ডসন৷ কয়েকদিন ধরে বেশ কয়েক দফা বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা চালিয়েছেন রিচার্ডসন৷ তাঁর প্রচেষ্টায় কিছুটা সাফল্য এসেছে বলেই মনে হচ্ছে৷ কারণ একদিকে দক্ষিণের মহড়ার পর শান্ত উত্তর, আবার অন্যদিকে নিজেদের পরমাণু কর্মসূচির ব্যাপারেও কিছুটা নমনীয়তার কথা শোনা গেল সোমবার৷ রিচার্ডসন বলছেন যে, আন্তর্জাতিক পরমাণু নজরদারি সংস্থা আইএইএ'কে নিজেদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো দেখাতে রাজি হয়েছে পিয়ংইয়ং৷ অবশ্য ওয়াশিংটন উত্তরের এমন সম্মতিকে সহজ বিশ্বাসের চোখে দেখছে না৷ তবুও ‘‘যদি উত্তর কোরিয়া আইএইএ'কে তাদের কর্মসূচির সাথে সম্পৃক্ত করতে চায় এবং তাদের স্থাপনাগুলো দেখাতে চায়, তবে তা হবে ইতিবাচক পদক্ষেপ'' বলে মন্তব্য করলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ফিলিপ ক্রাউলি৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান