1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

থাইল্যান্ডে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে

১৬ মে ২০১০

থাইল্যান্ড কি গৃহযুদ্ধের দিকে এগোচ্ছে? ব্যাংককের রাস্তায় সরকার বিরোধীদের সঙ্গে সেনাদের সংঘর্ষে একের পর এক প্রাণহানি এবং প্রধানমন্ত্রীর অনড় অবস্থানের পর এখন এই প্রশ্নই দেখা দিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/NP2n
গুলি ছুঁড়ছে থাই সেনারাছবি: AP

সর্বশেষ পরিস্থিতি

প্রত্যেকদিন সেখানকার পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে৷ শনিবার সারাদিন রাজধানী ব্যাংককে সেনাদের সঙ্গে লাল জামাধারীদের সংঘর্ষ হয়েছে৷ বার্তাসংস্থা রয়টার্স থাই গণস্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সূত্রে জানিয়েছে গত বৃহস্পতিবার থেকে এখন পর্যন্ত সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৪ ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন৷ আহত হয়েছেন ১৭৯ জন৷ রাজধানী ব্যাংককের প্রধান বাণিজ্যিক এলাকায় এখনও অবস্থান করছে সরকার বিরোধী আন্দোলনকারীরা৷ তারা রাস্তায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে৷ অন্যদিকে সেনা সদস্যরা একটি এলাকাকে ‘লাইভ ফায়ার জোন' বলে ঘোষণা দিয়েছে৷ আন্দোলনকারীদের হঠাতে তাদের আশপাশের এলাকা ঘিরে ফেলার চেষ্টা করছে সেনাবাহিনী৷ তাদের খাদ্য ও পানির সরবরাহও বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে৷ সেনাবাহিনী জানিয়েছে, শক্তি প্রয়োগই এখন একমাত্র উপায়৷ এরপরও লাল জামাধারীরা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণায় অনড় রয়েছে৷

Malakhov_04.jpg
গোলাগুলির মধ্যে দৌড়াচ্ছেন এক চিকিৎসা কর্মিছবি: AP

কঠোর অবস্থানে থাই প্রধানমন্ত্রী

গত বৃহস্পতিবার সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর শনিবার প্রথম সরকারি টেলিভিশনে বক্তব্য দেন থাই প্রধানমন্ত্রী অভিসিৎ ভেজ্জাজিভা৷ তিনি স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, পরিস্থিতি এখন যতটুকু পর্যন্ত গড়িয়েছে তার পর পিছু হটার কোন সম্ভাবনা নেই৷ অর্থাৎ আরও কঠোর অবস্থানের ঘোষণাই দিলেন থাই প্রধানমন্ত্রী৷ তিনি অভিযোগ করেছেন, যে সরকার বিরোধীদের মধ্যে সশন্ত্র লোকজন রয়েছে যারা সেনা সদস্যদের দিকে গুলি ও বোমা ছুঁড়ছে৷ তিনি বলেন, ‘সরকারকে পছন্দ না হলেই তাকে উৎখাতের জন্য সশস্ত্র দল গড়ে তোলা হবে, এমন সুযোগ আমরা দেব না৷' তবে জনতার উদ্দেশ্যে সেনা সদস্যরা যেভাবে গুলি ছুঁড়ছে সে ব্যাপারে কিন্তু কোন ব্যাখ্যাই শোনা যায়নি থাই প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে৷

আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ

থাই পরিস্থিতির ব্যাপারে ইতিমধ্যেই জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন তাঁর উদ্বেগ জানিয়েছেন এবং সরকার ও সরকার বিরোধীদের মধ্যে আলোচনা শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন৷ অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র তার দূতাবাসের কর্মকর্তাদের পরিবারবর্গকে ব্যাংকক থেকে সরিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে৷ একইসঙ্গে মার্কিন নাগরিকদের ব্যাংকক ভ্রমণ না করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে৷ এদিকে রোববার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ১০টি দেশের সংগঠন আসিয়ান থাইল্যান্ডকে সহিংসতা থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে৷ উল্লেখ্য, সদস্য দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে সবসময় নিজেকে বিরত রাখে আসিয়ান৷ কিন্তু থাইল্যান্ডের পরিস্থিতি এতটাই খারাপের দিকে যাচ্ছে যে শেষ পর্যন্ত তারাও মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছে৷ আসিয়ান এর বর্তমান সভাপতি দেশ ভিয়েতনাম এক বিবৃতিতে থাই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানানোর পাশাপাশি শান্তি আলোচনা শুরু করার আহ্বান জানিয়েছে৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়