থাইল্যান্ডে অভ্যুত্থানের পর সমঝোতার উদ্যোগ
২৩ মে ২০১৪মঙ্গলবার সামরিক আইন জারির পর থেকে রাজনৈতিক অচলাবস্থা দূর করে দেশে শান্তি ফেরানোর আশ্বাস দিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গন ও জনজীবনে নিয়ন্ত্রণ আরোপ শুরু করে থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী৷ ১৪টি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করার পাশাপাশি সংবাদ এবং বেতার মাধ্যমের ওপরও আরোপিত হয় বিধিনিষেধ৷ বৃহস্পতিবার সংবিধান এবং ক্যাবিনেট স্থগিত ঘোষণা করা হয়৷ নৈশ আইন জারি করে ঘরের বাইরে পাঁচজনের বেশি মানুষের সমাবেশকেও করা হয় নিষিদ্ধ৷ পাশাপাশি আসে প্রায়ুথ চান-ওচার ক্ষমতা দখলের ঘোষণা৷
আট বছরে দ্বিতীয়বারের মতো সামরিক শাসন এলো থাইল্যান্ডে৷ প্রায়ুথ চান-ওচার এই অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি রক্তপাতহীন এ অভ্যুত্থানকে ‘অযৌক্তিক' হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন৷ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়াও সামরিক অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়েছে৷
এদিকে সামরিক আইন বলবৎ রেখেই রাজনীতিতে ইংলাক সিনাওয়াত্রার দল এবং বিরোধীদের মধ্যে সমঝোতার উদ্যোগ নিয়েছেন প্রায়ুথ চান-ওচা৷ দু'পক্ষের প্রথম সারির নেতা এবং দেশের বিভিন্ন পেশার গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ মোট ১৫৫ জনকে ব্যাংককের সামরিক বাহিনীর ব্যারাকে আলোচনায় অংশ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়৷ সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা এ আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন৷
দেশের বিভিন্ন শহরের রাস্তায় রাস্তায় চলছে সেনা টহল৷ সাংবিধানিক আদালত ইংলাককে ক্ষমতাচ্যুত করার পরই তাঁর সমর্থকরা নেমে এসেছিল রাস্তায়৷ এখনো যেসব স্থানে ইংলাক সমর্থকরা অবস্থান করছে সেসব স্থানে সেনাটহল জোরদার করা হয়েছে৷
এসিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)