1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ত্রাণ পাঠাতে হিমশিম খাচ্ছে কর্মীরা

২৫ আগস্ট ২০১০

পাকিস্তানের বন্যার্ত মানুষের কাছে ত্রাণ পাঠাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ত্রাণকর্মীদের৷ সেখানে চলছে বৃষ্টি৷ ফলে আশঙ্কা নতুন নতুন এলাকা পানিবন্দি হবার৷ আর মানুষের চরম দুর্ভোগ, সে তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷

https://p.dw.com/p/OvmL
খাবারের আশায় বন্যার্ত শিশুরাছবি: AP

মানুষের হাহাকারের যেন শেষ নেই৷ বন্ধুরাষ্ট্র এবং সাহায্য সংস্থাগুলোর কাছ থেকে পর্যাপ্ত ত্রাণ পাওয়া গেলেও তা পৌঁছানো যাচ্ছে না বন্যার্ত মানুষের কাছে৷ কী কারণ? উত্তরে দাতা সংস্থাগুলো জানাচ্ছে, পানি বন্দি মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য এখানে যানবাহনের খুব অভাব, বিশেষ করে হেলিকপ্টারের৷

এ অবস্থায় জাতিসংঘ সদস্য দেশগুলোর প্রতি যত দ্রুত সম্ভব হেলিকপ্টার পাঠানোর বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছে৷ সেই সঙ্গে দক্ষিণে আট লাখ বিচ্ছিন্ন মানুষের কাছে পৌঁছানোটাই একটি বড় ধরণের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ এদের কাছে দ্রুত খাদ্য সামগ্রী এবং সাহায্য উপকরণ পাঠানো প্রয়োজন, কারণ তারা খাদ্য আর পানীয়হীন অবস্থায় রয়েছে অনেক দিন৷ আর এ কাজ কেবল মাত্র হেলিকপ্টার দিয়েই সম্ভব, সেকথাও বলে দিয়েছেন মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে জাতিসংঘের এমন কর্মকর্তারা ৷

Pakistan / Flutkatastrophe / Hochwasser / Überschwemmungen
ছবি: AP

অবশ্য জানা যাচ্ছে, শুধু যানবাহনের অভাব এবং বন্যার পানি বেড়ে যাওয়াটাই যে ত্রাণ বিতরণে সমস্যার সৃষ্টি করেছে, তাই নয়, এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বৃষ্টি৷ ঘন বৃষ্টির কারণে পানি উপচে যাচ্ছে বিভিন্ন স্থানে৷ ভাসিয়ে নিয়ে গেছে সেতু, কার্লভার্ট৷ ফলে বন্যার পানির দখলে গেছে আরও নতুন নতুন এলাকা৷ আগামী কয়েকদিনে এই অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা৷ বন্যায় সবচেয়ে বেশি নাকাল হয়েছে যে প্রদেশ, অর্থাৎ সেই সিন্ধু প্রদেশের কৃষি মন্ত্রী জাম সাইফুল্লাহ ধারিজো বলেছেন, ‘‘আমরা এখন যুদ্ধাবস্থায় আছি৷ ঠিক যুদ্ধকালীন যা যা করা প্রয়োজন, ঠিক সেভাবেই সব করা হচ্ছে৷''

স্মরণকালের ভয়াবহতম এই বন্যায় প্রায় দুই কোটি মানুষ সরাসরি ক্ষতির মুখোমুখি৷ এখনো ৫০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত৷ এই অবস্থায় জাতিসংঘের আহ্বান যতটা দ্রুত সম্ভব, সেখানে আরও ত্রাণ এবং ত্রাণ বণ্টনের জন্য যান পাঠানোর৷ ইসলামাবাদের হিসাবে এই বন্যায় এ পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হবে অন্তত ৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ তাছাড়া বন্যায় পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ছে বলেও খবর৷ তাই এই পরিস্থিতি কী করে মোকাবিলা করা যায়, বিশেষ করে বন্যা-পরবর্তী রোগ বালাই মোকাবিলাটাই চ্যালেঞ্জ হিসাবে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি৷ আর তাই তিনি আলোচনা করেছেন দেশ ও বিদেশের চিকিৎসক এবং সাহায্য সংগঠনগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরবর্তী করণীয় নিয়ে৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন