1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ত্রাণবাহী নৌবহরে ইসরায়েলি হামলা

৩১ মে ২০১০

গাজার জন্য ত্রাণবাহী একটি নৌবহরে ইসরায়েলি কমান্ডোদের হামলায় হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে৷

https://p.dw.com/p/NdaA
ইসরায়েলি নৌবাহিনীর সদস্যরা নিয়ন্ত্রিত সমুদ্র এলাকায় পাহারা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেনছবি: picture alliance/dpa

গাজা উপত্যাকার জনগণের জন্য এই ত্রাণ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল৷ তুরস্কের একটি মানবাধিকার সংগঠনের উদ্যোগে প্রায় ১০ হাজার টন ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে ছয়টি জাহাজ গাজার উদ্দেশে রওয়ানা দেয়৷ এর আগে ইসরায়েল তাঁদের নিয়ন্ত্রিত সমুদ্রসীমা দিয়ে কোনো জাহাজ যেতে দেবেনা বলে জানিয়েছিল৷ ফলে যখন নৌবহরটি ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রিত এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল তখন কমান্ডোরা এর উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ এতে ঐ নৌবহরে থাকা ১৯ জন নিহত হয় বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের একটি টেলিভিশন চ্যানেল৷ তবে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র দাবি করেছেন যে, কমান্ডোরা একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান চেয়েছিলেন৷ কিন্তু নৌবহরে থাকা লোকজন অস্ত্র ও ছুরি নিয়ে কমান্ডোদের উপর হামলা করলে এর উত্তর দেয় কমান্ডোরা, দাবি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের৷ ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মুখপাত্র মার্ক রেগেভের দাবি, ত্রাণগুলো অন্য পথে গাজায় পৌঁছানোরও প্রস্তাব দিয়েছিল কমান্ডোরা৷

এদিকে এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক৷ কারণ নৌবহরের জাহাজগুলোতে তুরস্কের পতাকা লাগানো ছিল৷ তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র ইসরায়েলি কমান্ডোদের এ ধরণের আচরণ ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে জানান৷ এর ফল ইসরায়েলকে ভোগ করতে হবে বলেও জানান তিনি৷ উল্লেখ্য, মুসলমান দেশগুলোর মধ্যে তুরস্কের সঙ্গেই ইসরায়েলের সম্পর্ক সবচেয়ে ভাল ছিল৷ কিন্তু এই ঘটনার পর দুদেশের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা দেখা দিল৷ তুরস্কে ইসরায়েলের দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেছে শত শত মানুষ৷

জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করে এর পূর্ণ তদন্ত দাবি করেছেন৷ অন্যদিকে হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে এই ঘটনায় নিহতদের জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে৷ এছাড়া পুরো ঘটনা এখন পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানানো হয় ঐ বিবৃতিতে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশটন এই ঘটনায় তাঁর গভীরতম উদ্বেগের কথা জানিয়ে পূর্ণ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন৷ জার্মানি এই হামলাকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ বলে ইসরায়েলের সমালোচনা করেছে৷ আর ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ একে অমানবিক ঘটনা বলেছেন৷ আরব লিগ একে ইসরায়েলের সন্ত্রাসী কাজ বলে উল্লেখ করেছে৷ এছাড়া অবস্থা পর্যবেক্ষণে জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছে৷

এদিকে ইসরায়েল যে সমুদ্রসীমা নিয়ন্ত্রণ করছে তা থেকে সরে আসতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব৷ উল্লেখ্য, গাজা উপত্যাকার নিয়ন্ত্রক হামাস গোষ্ঠী যেন ঐ অঞ্চল দিয়ে অস্ত্র পরিবহন করতে না পারে সেজন্য নাকি ইসরায়েল ঐ অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে, বলে জানিয়েছে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ