1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তেল বিপর্যয়: ক্যাথেটার দিয়ে লীক থেকে তেল শোষার প্রচেষ্টা

১৫ মে ২০১০

মেক্সিকো উপসাগরে বিপি’র তেলের রিগে দুর্ঘটনার পর তিন সপ্তাহের বেশি কেটে গেছে৷ এখনও দেড় কিলোমিটার সমুদ্রগর্ভে লীক আটকানোর চেষ্টা চলছে৷ প্রেসিডেন্ট ওবামা ধৈর্য্য হারাচ্ছেন৷

https://p.dw.com/p/NOvE
মেক্সিকো উপসাগরে তেলের আস্তরছবি: picture alliance / dpa

ইঞ্জিনীয়ারদের চেষ্টার তো কোনো কমতি নেই৷ প্রথমে চৌকোণা ফানেল নামিয়ে লীক ঢাকা দেবার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় সমুদ্রগর্ভে ফানেলের ভেতরের দেয়ালে তেলে-জলে দানা বাঁধার ফলে৷ দ্বিতীয় ধারণাটা ছিল, আরো অনেক ছোট, টপ হ্যাট আকৃতির একটি নলযুক্ত ফানেল নামিয়ে তেল তোলা যায় কিনা৷ ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম সংস্থার বিশেষজ্ঞদের সর্বাধুনিক পরিকল্পনা হল, সাগরের তলায় যে ২১ ইঞ্চি পাইপটি ফেটে তেল বেরোচ্ছে, সেই ফুটোয় একটি রবারে ঢাকা পাতলা টিউব ঢুকিয়ে তেল সরাসরি জাহাজে তুলে আনা হবে৷ এ'সব কাজই হচ্ছে রোবোট দিয়ে৷ কিন্তু বিপুল গভীরতার কারণে দৃশ্যত সময় বেশি লাগছে৷

New York Time Square Bombe
তেল কোম্পানিগুলোর সমালোচনা করেছেন ওবামাছবি: AP

এই মওকায় বলে নেওয়া যাক যে, নয়া নয়া উদ্ভাবনশীল পরিকল্পনার কোনো অভাব নেই৷ জলের তলায় তথাকথিত ‘ব্লোআউট প্রিভেন্টার'-টিতে প্লাস্টিকের কিউব, দড়িদড়া, এমনকি গলফ খেলার বল ঢুকিয়ে সেটিকে জ্যাম করারও নাকি প্রস্তাব এসেছে, বলে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকা৷ কিন্তু বাস্তবে যেটা ঘটছে, সেটা হল: দুর্ঘটনার স্থল থেকে দিনে ৫,০০০ ব্যারেল না হয়ে, ৭০,০০০ ব্যারেল অবধি তেল বেরোচ্ছে, বলে আশঙ্কা করছেন নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞরা৷ এমনকি মেক্সিকো উপসাগরের ‘ডীপওয়াটার হোরাইজন' দুর্ঘটনা ইতিমধ্যেই ১৯৮৯ সালের ‘এক্সন ভালডেজ' তেল দুর্ঘটনাকে ছাড়িয়ে গিয়ে থাকতে পারে, বলে তাঁদের ধারণা৷

শুক্রবার হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে দেখা গেল অগ্নিমূর্তি৷ তিনি বলেন, তেল কোম্পানিগুলির সঙ্গে ফেডারাল সরকারের উপরও এই দুর্ঘটনার দায় বর্তাবে৷ তাঁর মতে গোটা ‘‘প্রণালীটি'' গুরুতরভাবে ব্যর্থ হয়েছে৷ কাজেই তিনি ড্রিলিং পার্মিটগুলি নতুন করে পরীক্ষা করে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন৷ তেলের রিগটির সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন কোম্পানির কর্মকর্তারা যেভাবে পরষ্পরের উপর দোষারোপ করেছেন, ওবামা তাকে একটি ‘‘হাস্যকর দৃশ্য'' বলে অভিহিত করেন৷ কোম্পানিগুলির সঙ্গে ফেডারাল সরকারের দহরম-মহরমও তাঁর পছন্দ নয়৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: জাহিদুল হক