1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তেরো মিনিটে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন টেরেসা

২৪ সেপ্টেম্বর ২০১০

মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমা শেষ পর্যন্ত পেলেন না টেরেসা লিউইস৷ প্রাণদণ্ড কার্যকর হয়ে গেল এই ৪১ বছরের নারীর৷ অভিযোগ, স্বামী আর সৎ ছেলেকে টাকার জন্য হত্যা করিয়েছিলেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/PLQ1
টেরেসা লিউইসছবি: AP

মৃত্যুর আগে অনুশোচনায় দগ্ধ হচ্ছিলেন টেরেসা৷ তবে মরতে চান নি তিনি৷ বাঁচতে চেয়েছিলেন৷ সেই মর্মে আবেদনও করেছিলেন৷ কিন্তু কাজ হয় নি৷ প্রাণদণ্ড কার্যকর হয়ে গেল তাঁর৷ দীর্ঘ ৯৮ বছর পরে ভার্জিনিয়ায় প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত হলেন কোন মহিলা৷ এই প্রাণদণ্ডের বিষয়ে আপত্তি ছিল মানবাধিকার সংগঠনগুলির৷ আপত্তি জানিয়েছিল ইউরোপ সহ বেশ কয়েকটি দেশ৷

কাহিনীর শুরু ২০০২ সালের ৩০ অক্টোবর৷ বাড়ির দরজা খুলে দিয়ে দুই ভাড়াটে খুনিকে ঘরে আনেন টেরেসা৷ স্বামী ৫১ বছরের জুলিয়ান লুইস আর সৎ ছেলে ২৫ বছরের চার্লসকে শটগান দিয়ে গুলি করে দুই খুনে৷ পাশের ঘরে বসে থেকেও তাদের বাঁচানোর কোন চেষ্টাই করেন নি টেরেসা৷ দু'জনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর অ্যাম্বুলেন্স ডাকেন তিনি৷ খুনের কারণ, স্বামীর আড়াই মিলিয়ন ডলারের জীবনবিমা৷ যার উত্তরাধিকারী এই টেরেসা৷ আর এই খুনের জন্য খুনিদের হাতে নিজের ষোল বছরের কিশোরী মেয়েকেও তুলে দেওয়া হয়েছিল৷ অর্থাৎ টাকা আর যৌনতা দুটোই৷

এই অপরাধের শাস্তি হয় মৃত্যুদণ্ড৷ সেটাই হল আদালতে৷ অবশেষে ভার্জিনিয়ার গ্রিনসভিল কারেকশনাল সেন্টারে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত নটায় টেরেসার শরীরে বিষ ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়৷ তেরো মিনিটের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন টেরেসা৷ শেষ কথা ছিল মেয়ে ক্যাথির উদ্দেশে৷ বলেছেন, ‘ক্যাথিকে আমি বলতে চাই, আমি তোমাকে ভালোবাসি৷ আর যে কাজ আমি করেছি তার জন্য আমি চরম দুঃখিত৷'

মৃত্যুদণ্ডের দিনক্ষণ জানতে পারার পর থেকে টেরেসা নিজের কলঙ্কিত জীবনের শেষ দিনগুলি কাটিয়েছেন আধ্যাত্মিক পরামর্শদাতা আর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে৷ জিরাট শহরের কারাগারেই নিজের মায়ের মৃত্যু মুহূর্তটা প্রত্যক্ষ করেছে মেয়ে ক্যাথি৷

জোড়া খুনে সহযোগিতার দায়ে মৃত্যুদণ্ডে শেষ হওয়া এই জীবনের শেষ খাবার খেতে চেয়েছিলেন এবং খেয়েছেন টেরেসা তাঁর পছন্দমত৷ খবারটা ছিল ভাজা চিকেন, মাখন দেওয়া মিষ্টি মটরশুঁটি, জার্মান কেক আর আপেলের পিঠে৷ সঙ্গে ছিল ড. পেপারের নরম পানীয়৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম