তেজস্ক্রিয়তা বিকিরণ বন্ধে জাপানের মহাপরিকল্পনা
১৭ এপ্রিল ২০১১সুনামির আঘাতে বিস্ফোরিত ফুকুশিমা দায়াচি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ক্ষতিকারক মাত্রায় তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র৷ বিষাক্ত হয়ে উঠছে বাতাস, বিষাক্ত হচ্ছে পানি, মাটি৷ আর এই বিকিরণ বন্ধ করতে এবং তা যেন আর ক্ষতি করতে না পারে, সে জন্য চলছে প্রাণপণ চেষ্টা৷ পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির পরিচালক কোম্পানি টোকিও ইলেক্টিক পাওয়ার কোম্পানি বা টেপকোর প্রকৌশলী এবং বিজ্ঞানীরা এই বিকিরণ বন্ধ করতে একটি উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা আজ চূড়ান্ত করেছেন৷
পরিকল্পনা অনুসারে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ‘কোল্ড শাটডাউন' বা তেজস্ক্রিয়তা একেবারে বন্ধ করে দিতে সময়ের প্রয়োজন হবে ছয় থেকে আট মাস৷ সাধারণত এই ধরণের দুর্ঘটনার পর পরমাণু রডগুলোকে ঠান্ডা রাখতে উপরে বিশেষ পাথুরে মাটি এবং সিমেন্ট দিয়ে আস্তর দিয়ে দেয়া হয়৷ এক কথায় ঐ রডগুলোকে কবর দেয়া হয়৷ আর পরমাণু রডগুলোকে ঠান্ডা রাখতে ঐ মাটির আস্তরের উপর ২৪ ঘন্টা পানি ফেলা হয়৷ এই সূত্র অনুসারেই কাজটি করতে যাচ্ছে টেপকো৷ এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বেশ ঝুঁকি রয়েছে৷ সেই ঝুকি কতটা কমিয়ে কাজ করা যায়, পরিকল্পনাতে সেই কথাও বলা হয়েছে৷
এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন প্রলয়ংকরী ভূমিকম্প ও সুনামির পর যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্রের প্রতি সংহতি জানানোর লক্ষ্যে এখন রয়েছেন জাপানে৷ হিলারি তাঁর সংক্ষিপ্ত সফরকালে প্রধানমন্ত্রী নাওতো কান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকিয়েকি মাতসুমোতোর সাথে বৈঠক করবেন বলে জানা যাচ্ছে৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপান তার সবচেয়ে কঠিন সংকট মোকাবিলা করার প্রেক্ষাপটে হিলারি এ সফর করছেন বলে জানাচ্ছে এএফপি৷
২৫ বছরের মধ্যে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে ক্ষতিকর জাপানের এই পরমাণু দুর্ঘটনা, শক্তিশালী ভূমিকম্প ও সুনামি আঘাত হানার পর যুক্তরাষ্ট্র ২০ হাজার সৈন্য, জাহাজ এবং বিমান তল্লাশি, উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা চালাতে সহায়তা করছে৷ গত মাসে জাপানে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে নয়৷
প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম