1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তুষারপাতে বিপর্যস্ত ইউরোপ

৩ ডিসেম্বর ২০১০

উত্তর ইউরোপে আবার তুষারপাত শুরু হয়েছে৷ বৃহস্পতিবার তুষারপাতের ফলে এই অঞ্চলের দেশগুলোর মানুষকে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/QOZG
train, run, snow, covered, tracks London, Europe, Poland, Britain and Switzerland, উত্তর, ইউরোপ, তুষারপাত, ঝড়, আবহাওয়া, সমাজ
তুষারপাতে বিপর্যস্ত ইউরোপছবি: AP

ইউরোপে শীতকালে তুষারপাত হলেও এবার যেন তা শুরু হয়েছে একটু আগেই৷ প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলছে অসময়ের এই তুষারপাত৷ ফলে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা৷ বিশেষ করে পর্যটকরা এবং রাস্তাঘাটে প্রতিদিন যাদের বের হতে হয় তাঁরা পড়েছেন বেশি বিপদে৷ ফ্রাঙ্কফুর্ট, প্যারিস, প্রাগের বিমনবন্দরে বহু ফ্লাইট বাতিল হয়ে যায় অথবা বিমান অনেক দেরিতে ছাড়ে৷ যে ক'টি ফ্লাইট চলাচল করেছে, সেসব ফ্লাইটের যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হয়েছে দীর্ঘসময় ধরে৷

ব্রিটেনের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর গ্যাটউইক দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ রাখতে হয়৷ জেনেভা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কেবল বৃহস্পতিবার সকালে আবার খুলে দেওয়া হয়েছে৷ অত্যধিক তুষারপাতের কারণে একদিন আগে বিমানবন্দরটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো৷ বরফ জমে বেশ কিছু রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে গেছে৷ লন্ডন, প্যারিস আর ব্রাসেলস-এর মধ্য দিয়ে চলাচলকারী ইউরোপের আন্তর্জাতিক রেল সার্ভিস ‘ইউরো স্টার' বৃহস্পতিবার তার কুড়িটিরও বেশি ট্রেন'এর যাত্রা বাতিল করে দেয়৷

তুষারপাতের ফলে ব্রিটেনের হাজার হাজার স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে৷ রেল সার্ভিস বন্ধ করায় এবং রাস্তাঘাটে বরফ জমে যাওয়ায় অফিসযাত্রীদের পড়তে হচ্ছে বিপত্তিতে৷ বৃটেনের মতো ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোতেও মানুষ তাপমাত্রা এইভাবে নেমে যাওয়াতে শঙ্কায় রয়েছে৷

বরফশীতল আবহাওয়ার কারণে মধ্য ইউরোপে এ সপ্তাহে ২৮ জন মানুষ মারা গেছে, যারমধ্যে ১৮ জন ছিলেন গৃহহীন৷ পোল্যান্ডে তাপমাত্রা নেমে গেছে মাইনাস তেত্রিশ ডিগ্রিতে৷ বৃহস্পতিবারের তুষারপাতে ইউরোপের অনেক জায়গার মতো ব্রিটিশ মিউজিয়াম সাদা বরফের চাদরে ঢাকা পড়ে যায়৷ একটি সমীক্ষা বলছে, ব্রিটেনের প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে দু'জন বাইরে কাজে যেতে পারেননি৷ একই সংখ্যক লোকজন দেরি করে কাজে গেছেন৷ বলা হচ্ছে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে ব্রিটিশ অর্থনীতিকে প্রতিদিন ১ দশমিক ২ বিলিয়ন পাউন্ড মূল্য দিতে হতে পারে৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক