তুরস্ক-রাশিয়া সংঘাত কোন পথে?
তথাকথিত ইসলামিক স্টেট-এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সংগ্রামের উপর কালো ছায়া ফেলেছে তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান বিবাদ৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা দুই পক্ষের উদ্দেশ্যে উত্তেজনা মিটিয়ে ফেলার আহ্বান জানিয়েছেন৷
তুরস্ক আইএস-এর কাছে তেল কিনছে?
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন দাবি করেছেন, তুরস্ক সরাসরি তথাকথিত ইসলামিক স্টেট-এর কাছ থেকে চোরাই পেট্রোলিয়াম কিনছে৷ জবাবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এর্দোয়ান পুটিন-এর প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছেন, এই অভিযোগ প্রমাণ হলে তিনি পদত্যাগ করবেন, অন্যথায় পুটিনকে পদত্যাগ করতে হবে৷
সুদিন কি ফিরে আসবে?
তুরস্ক ও রাশিয়ার সম্পর্ক নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্তও মোটামুটি স্বাভাবিক ছিল৷ আন্টালিয়া শহরে জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে এর্দোয়ান ও পুটিন সহাস্যে করমর্দন করেছেন৷
রাশিয়া-তুরস্কের মধ্যে উত্তেজনার সূত্রপাত
২৪শে নভেম্বর (২০১৫) তুরস্কের সেনাবাহিনী সিরিয়া সীমান্তের কাছে রুশ বিমানবাহিনীর একটি বিমান ভূপতিত করে৷ তুরস্কের দাবি, বিমানটি আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছিল এবং একাধিক বার সতর্ক করা সত্ত্বেও গতিপথ বদলায়নি৷ রাশিয়া অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে৷
রাশিয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া
২৫শে নভেম্বর (২০১৫) মস্কোয় তুরস্কের দূতাবাসের সামনে বিশাল প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখা যায়৷ রাশিয়া তুরস্কের উপর একাধিক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ তুর্কি নাগরিকদের আবার রাশিয়ায় প্রবেশ করতে ভিসা লাগবে৷ তুরস্কে রুশ পর্যটকদের ঢলও আর নামবে না৷
ন্তির প্রচেষ্টা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তুরস্ক ও রাশিয়ার উদ্দেশ্যে কূটনৈতিক বিবাদ মিটিয়ে আইএস বা আইসিস দমন অভিযানে মনোযোগ দেবার আহ্বান জানিয়েছেন৷
পিছু হঠছেন এর্দোয়ান?
এর্দোয়ান-ও বলেছেন, তিনি রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা এড়িয়ে চলতে চান৷ সিরিয়া সংকট সমাধানে তিনি রাজনৈতিক সমাধানসূত্রের উপর জোর দিয়েছেন৷ তবে তুরস্ক ক্ষমা না চাইলে পুটিন-এর মন গলবে কিনা, তা স্পষ্ট নয়৷