1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তুরস্ক যাত্রার আগে ম্যার্কেলের বার্তা

২৯ মার্চ ২০১০

চার বছর বাদে আবার তুরস্ক সফরে যাবার আগে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল তাঁর সাপ্তাহিক ভিডিও বার্তায় জার্মানিতে বসবাসকারী তুর্কিদের সমাজে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে তাঁর মনোভাব স্পষ্ট করে দিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/MgT8
ছবি: AP

জার্মান ভাষায় শব্দটি হল ‘ইন্টেগ্রাৎসিওন' - অর্থাৎ ইন্টেগ্রেশন বা অঙ্গীভূতকরণ কিংবা একাঙ্গীকরণ৷ বিদেশী-বহিরাগতদের ক্ষেত্রে যা বোঝায়: তাদের সমাজের অঙ্গ করে তোলা৷ কিন্তু ব্যাপারটা বলা যতো সোজা, করা তার চেয়ে অনেক বেশী শক্ত, যার প্রমাণ জার্মানিতে বসবাসকারী তুর্কিরা৷ অপরদিকে তুর্কি প্রধানমন্ত্রী রেচেপ তাঈপ এর্দোয়ান দু'বছর আগেই জার্মানি সফরে এসে কোলোনে স্থানীয় তুর্কিদের তাদের জাতীয় সত্তা হারানো সম্পর্কে সাবধান করে দিয়েছিলেন৷ ম্যার্কেলের এই সর্বাধুনিক তুরস্ক সফরের আগেও এর্দোয়ান ধুয়ো তোলেন যে, জার্মানিতে তুর্কি মিডিয়ামের স্কুল হওয়া উচিৎ - ম্যার্কেল যে প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন৷

ম্যার্কেল আগামী সোমবার আংকারা এবং ইস্তানবুল অভিমুখে যাত্রা করার আগে অবশ্যই জার্মানিতে তুর্কিদের ‘ইন্টেগ্রাৎসিওন' বা একাঙ্গীকরণ সম্পর্কে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গী ব্যক্ত করতে আগ্রহী ছিলেন৷ তাই ম্যার্কেল তাঁর ভিডিও বার্তায় বলেছেন: ‘‘তুরস্ক যাত্রা সব সময়েই একটি বিশেষ ব্যাপার, কেননা জার্মানিতে বহু তুর্কি বাস করেন এবং তাদের মধ্যে অনেকেই ইতিমধ্যে তৃতীয় কিংবা চতুর্থ পুরুষে৷'' এই তুর্কিদের জার্মান সমাজের অঙ্গ করে তোলার ব্যপারে তাঁর একাধিকবার এর্দোয়ানের সঙ্গে কথা হয়েছে, বলে জানান ম্যার্কেল৷ ‘‘সেক্ষেত্রে আমরা স্পষ্ট করে দিই যে, আমরা একাঙ্গীকরণ বলতে সমীভবন কিংবা স্বদেশকে পরিত্যাগ করা বোঝাই না৷ বরং আমরা চাই যে, যে-সব মানুষ বহু পুরুষ ধরে এখানে বসবাস করছেন, তাঁরা এই সমাজের অঙ্গ হয়ে উঠুন, সামাজিক সাফল্য, কর্মজগৎ এবং পারিবারিক জীবনে অংশগ্রহণ করুন৷''

তার অর্থ হল, জার্মান ভাষা শেখা এবং জার্মান আইনকানুন মেনে চলা, বলেন ম্যার্কেল৷ তাঁর রবিবারের ভিডিও বার্তায় এটাই ছিল সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য৷ অতঃপর তিনি জার্মানিতে তুর্কিদের একাঙ্গীকরণ প্রক্রিয়ায় নানা প্রগতির কথা বলেন৷ এবং যোগ করেন যে, তিনি জার্মানিতে বসবাসকারী তুর্কিদেরও চ্যান্সেলর৷ - ম্যার্কেল তাঁর দু'দিনব্যাপী তুরস্ক সফরে প্রধানমন্ত্রী রেচেপ তাঈপ এর্দোয়ান এবং প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা গুল-এর সঙ্গে মিলিত হবেন৷

প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম