তিলোত্তমা কলকাতার শহুরে কথকতা
কলকাতা শহর যে কোনো আলোকচিত্রীর জন্য এক রত্নখনি৷ তার দৈনন্দিন জীবনেও লুকিয়ে থাকে হাজার মজা, শুধু খুঁজে নিতে হয়৷ শহরটারও একটা মেজাজের আন্দাজ তার থেকে পাওয়া যায় বৈকি৷
অচল যান
পুরনো জিনিসের দোকানে লাইন দিয়ে রাখা অচল সাইকেল৷ তাদের আর কোথাও যাওয়ার নেই, কিচ্ছু করার নেই৷
ক্লান্ত পা
গাড়িতে মাল বোঝাই আর খালাসের কাজ করেন যেসব মজুর, তাঁরা বিশ্রাম নেওয়ার সময় পান কই! যাতায়াতের পথেই বিশ্রাম দেন ক্লান্ত পা-কে৷
গভীর জলের মাছ
অতিকায় সব মাছ৷ তারা যতই গভীর জলের হোক, ঠিক ধরা পড়তে হয় জেলেদের হাতে৷ তার পর সটান শহরে, মাছের বাজারে, বঁটির সামনে৷
‘সড়কছাপ’ স্টাইল
সবাই কি আর চুল কাটানোর জন্যে সেলুনে যেতে পারে! তাদের জন্যে আছে ফুটপাথের নাপিত৷ চটপট বাটিছাঁট৷
দ্বিখণ্ডিত
আসলে পোশাকের দোকানের ম্যানিকিন, গাড়িতে চড়ে এসেছিল নতুন রঙের পোঁচ গায়ে মাখতে৷ ফিরে যাচ্ছে দোকানের শোকেসে৷
কফি হাউস
কলকাতার কলেজ স্ট্রিটের কফি হাউস৷ সারাদিনই ছাত্র-ছাত্রীদের ভিড়ে সরগরম৷ কিন্তু অনেকেই আসেন দু’দণ্ড শান্তি পেতে৷ সে বনলতা সেনেরা থাকুক, বা না থাকুক৷
অন্য আড্ডা
হলোই বা বহুজাতিক ফাস্ট ফুড সংস্থার ম্যাসকট, তাকেও আড্ডায় সামিল করা বারণ নাকি! আসলে শহরে কোথাও বসে আড্ডা মারার জায়গা নেহাতই কম৷
মাটির কেল্লা
দেখে মনে হতে পারে আদিবাসীদের কোনো স্থাপত্য৷ আসলে উঁচু করে সাজিয়ে রাখা মাটির ভাঁড়, ফুটপাথের চায়ের দোকানে৷
সবটাই সার্কাস
রাস্তার সার্কাস৷ খেলা দেখায় মাদারিওয়ালারা৷ আসলে এই নগরজীবন, পুরোটাই তো এক সার্কাস৷