তিমি শিকার বন্ধ করতে অস্ট্রেলিয়া আদালতে
১ জুন ২০১০আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী তিমি শিকার নিষিদ্ধ৷ কিন্তু বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার জন্য তিমি শিকার করলে ক্ষতি নেই৷ ১৯৮৬ সালের নিষেধাজ্ঞার এই দুর্বল ব্যতিক্রমী নিয়ম কাজে লাগিয়ে জাপান বিশাল মাত্রায় তিমি শিকার করে আসছে৷ বলাই বাহুল্য, সেই তিমির সামান্য অংশ হয়তো সত্যি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কাজে লাগানো হয়৷ নিন্দুকেরা বলে, সেই পরীক্ষাও শুধু লোক দেখানো৷ আসল লক্ষ্য তিমিমাছের বিশাল দেহ থেকে মাংস, তেল, চর্বি ইত্যাদি বের করে বিক্রি করা৷
আন্তর্জাতিক সমালোচনা ও চাপ উপেক্ষা করে জাপান বহু বছর ধরে অ্যান্টার্কটিক মহাসাগরে ঘটা করে তিমি শিকার করে আসছে৷ অস্ট্রেলিয়াও দীর্ঘদিন ধরে এই মৃগয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে৷ কিন্তু কথায় কাজ না হওয়ায় এবার ক্যানবেরা সরকার সরাসরি দ্য হেগ'এর আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে৷
জাপান এই ঘটনার ফলে সমস্যার মুখে পড়েছে৷ সেদেশের মৎস মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, বিষয়টি দুঃখজনক, তবে সরকার যা করার তা করবে৷
২১ থেকে ২৫শে জুন মরক্কোয় আন্তর্জাতিক তিমি কমিশনের বাৎসরিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে৷ অনুমান করা হচ্ছে, তিমি শিকারকে কেন্দ্র করে সদস্য দেশগুলির মধ্যে যে বিরোধ চলে আসছে, তা চিরতরে মেটাতে এবারের সম্মেলনে একটা সমাধানসূত্র উঠে আসতে পারে৷ জাপান ছাড়াও নরওয়ে ও আইসল্যান্ড তিমি শিকার করে থাকে৷ নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের এখন তিমি শিকার করতে দেওয়া হবে, যদি তারা ১০ বছরের মধ্যে তিমি শিকার উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমিয়ে আনতে রাজি হয়৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়