1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তিন হাজার বছরের প্রাচীন মমি আধার ফিরে গেল মিশরে

১৪ মার্চ ২০১০

মিশর থেকে চুরি যাওয়া প্রাচীন সব প্রত্নবস্তু ফিরিয়ে নিতে উদ্যোগ নিয়েছে কায়রো৷ তিন হাজার বছরের পুরানো একটি মমি আধার মিশরকে ফিরিয়ে দিল যুক্তরাষ্ট্র৷

https://p.dw.com/p/MSNM
ছবি: AP

প্রায় দুই শতাব্দ আগে, সেই ১৮৮৪ সালে মিশর থেকে চুরি হয়ে গিয়েছিল তিন হাজার বছরের পুরানো কাঠের তৈরি একটি মমি আধার বা ‘সারকোফেগাস'৷ ২০০৮ সালে স্পেন হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামি বিমানবন্দরে সেটি পৌঁছানোর পর, যে ব্যক্তির নামে এই প্রাচীন বহুমূল্য কিন্তু চোরাই প্রত্নবস্তুটি পাঠানো হয়েছিল, পুলিশের ভয়ে সে বিমানবন্দরে হাজির হয় নি৷ পরে ওই সুপ্রাচীন প্রত্নবস্তুটির মালিকানা প্রমাণ করতেও ব্যর্থ হয় প্রাপক৷ সুতরাং পুলিশের হাত ঘুরে যথারীতি মিউজিয়ামে ঠাঁই পায় এই প্রত্নবস্তুটি৷ অবশেষে মিশরের প্রত্নতত্ব বিভাগের প্রধান জহি হাবাসের প্রচেষ্টায় প্রাচীন এই সারকোফেগাসের মালিকানা ফিরে পেল মিশর৷

কয়েকশো বছর নয়, সেই সুপ্রাচীন নীলনদ সভ্যতার আমলে খৃষ্টপূর্ব ১০৭০ থেকে ৯৪৫ সালে, মানে প্রায় তিন হাজার বছর আগেকার প্রাচীন মিশরের কোন এক ধনী ব্যক্তির মৃতদেহের ঢাকনা ছিল কাঠের তৈরি অপরূপ শৈল্পিক নিদর্শন সহ এই সারকোফেগাস৷ মিশর জানাচ্ছে, তাদের কাছে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই ব্যক্তির নাম ছিল ইমেসি৷ দুই শতাব্দ পরে আবার ইমেসির স্বদেশেই ফিরে যাচ্ছে তার মৃতদেহের প্রচ্ছদ৷

Leichnam Tutencham Ägypten
প্রাচীন মিশরের ফারাও বা কিশোর রাজা টুটানখামেনের মমির পায়ের ছবি৷ পায়ের গঠনে ত্রুটি ছিল তাঁর৷ মাত্র ঊনিশ বছর বয়সে ম্যালেরিয়ায় মারা যান ফারাও টুটানখামেন৷ছবি: AP

মিশর থেকে এরকম বহু চোরাই প্রত্নবস্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে বলে জানিয়েছেন জহি হাবাস৷ যুক্তরাষ্ট্র থেকে কায়রোয় ফিরে তিনি বলেছেন, আপাতত তাঁরা উদ্যোগ নিচ্ছেন, সেইসব মূল্যবান চোরাই প্রত্নবস্তুগুলিকে ফিরে পাওয়ার৷ সেই উদ্যোগে এই ইমেসির মমি প্রচ্ছদ ফিরে পাওয়া নিশ্চয়ই একটা সাফল্য৷ হাবাস জানান, প্রাচীন বহু কফিন, পটারি এবং একাধিক প্রাচীন শিল্প চোরাপথে পাচার হয়ে গেছে মার্কিন মুলুকে৷ সেগুলো সবই ফিরে পেতে চায় মিশর৷

ঔপনিবেশিক শাসনকালে গত শতাব্দে এবং তার আগের শতাব্দেও মিশর থেকে হাজার হাজার প্রাচীন শিল্পকলা চুরি যেমন হয়েছে তেমনই প্রত্নতত্ববিদ, ঐতিহাসিকরাও এইসব বহুমূল্য প্রত্নবস্তু সংগ্রহ করে নিয়ে চলে গেছেন ইউরোপে, অ্যামেরিকাতে৷ মিশর এখন উদ্যোগ নিচ্ছে তাদের দেশের সেইসব বহুমূল্য সম্পদ আবার ফিরে পাওয়ার জন্য৷ শুধু তো মিশরেই নয়, ঔপনিবেশিক শাসনে এই ধরণের চুরি এবং গা জোয়ারির শিকার হয়েছে ভারত বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের মত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিও৷ সেইসব প্রত্নবস্তু এবং ঐতিহাসিক নিদর্শন ফিরে পাওয়ার জন্য আজকের মিশরের মতই উদ্যোগ কিন্তু তেমনভাবে পরিলক্ষিত হয় না এশিয়ায়৷

প্রতিবেদন- সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা - আরাফাতুল ইসলাম