1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তারুণ্যের দাবি মেনে বিনোদনী টিভি চ্যানেল নিয়ে এল ইরান

১০ সেপ্টেম্বর ২০১০

রীতিমত বিনোদনের টিভি চ্যানেল নিয়ে এল ইরান৷ চব্বিশ ঘন্টার এই চ্যানেলে সিনেমা, সিরিয়াল সহ হরেক বিনোদনের খোঁজ মিলবে৷ শুক্রবার থেকেই চালু হল এই নয়া চ্যানেল৷ বলা বাহুল্য সরকারি নিয়ন্ত্রণেই৷

https://p.dw.com/p/P9BJ
তরুণ প্রজন্মের দাবি মেটানোর চেষ্টা (ফাইল ফটো)ছবি: Ali-Akbar Ghanbari

বিনোদন শব্দটা কী ইরানে ব্রাত্য? মোটেই নয়৷ আরবি ভাষাভাষীদের জন্য একটা নতুন দুনিয়া খুলে দিতে চাইছে ইরান সরকার৷ সেই লক্ষ্য নিয়েই ঈদের ঠিক মুখে ইরান নিয়ে এল নতুন বিনোদনী টিভি চ্যানেল৷ যার উদ্বোধন হয়ে গেল দশ সেপ্টেম্বর, ঈদের সঙ্গে সঙ্গেই৷

ইরানের জাতীয় টিভির নিয়ন্ত্রণেই থাকবে এই নতুন বিনোদনী চ্যানেল৷ ২৪ ঘন্টার চ্যানেলে থাকবে ফিল্ম, সিরিয়াল, তথ্যচিত্র, ফিল্ম বানাবার খবারাখবর, ইত্যাদি প্রভৃতি৷ অর্থাৎ বিনোদনের জন্য ঠিক যে সমস্ত টিভি অনুষ্ঠানের খোঁজ করে দর্শকরা, এ চ্যানেল সেই প্রত্যাশাকেই পূরণ করবে৷

কিন্তু হঠাৎ করে ইরানের কট্টরপন্থী আহমেদিনেজাদ প্রশাসন এত নরম মনোভাব কেন নিল? এ প্রশ্নটারও উত্তর আছে৷ উত্তর হল, দেখা যাচ্ছিল বিনোদনের খোঁজে ইরান সহ আরবি ভাষাভাষী তরুণ প্রজন্ম ক্রমশ পাশ্চাত্যের বিভিন্ন টিভি অনুষ্ঠানের দাস হয়ে যাচ্ছিল৷ তাদেরকে নিজস্ব সংস্কৃতিতে ফেরাতেই এই বিনোদনী চ্যানেলের ভাবনাচিন্তা৷

আপাতত জানা গেছে, স্যাটেলাইট এই চ্যানেলটি সম্পূর্ণ মুক্ত চ্যানেল৷ অর্থাৎ এর জন্য দর্শকের আলাদা পয়সা খরচ করার প্রয়োজন নেই৷ ইরান ছাড়াও এই চ্যানেল দেখা যাবে সিরিয়া, লেবানন, সৌদি আরব সহ বেশ কয়েকটি দেশে৷ আর যে সমস্ত ইরানি বেআইনি ভাবে এতদিন বাড়িতে লুকিয়ে স্যাটেলাইট লাগিয়ে বিদেশি টিভি চ্যানেল দেখতেন, তাদেরও আর অত যন্ত্রণা পোহাতে হবে না৷

বিনোদনের ফাঁদে কে না পা দেয়? শেষ পর্যন্ত আহমেদিনেজাদ প্রশাসনকেও মেনে নিতে হল তারুণ প্রজন্মের বিনোদনের দাবি!

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম