1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঢাকা যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়

৫ আগস্ট ২০১০

এক সংক্ষিপ্ত সফরে ৭ই অগাস্ট ঢাকা যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়৷ তিনি ভারতের দেয়া ১০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ সাহায্য চুক্তির স্বাক্ষরদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন৷ পর্যালোচনা করবেন দ্বিপাক্ষিক ইস্যুগুলি সমাধানের৷

https://p.dw.com/p/Ocj8
ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ছবি: UNI

এই ঋণ চুক্তিতে সই করবেন ভারতের এক্সিম ব্যাঙ্কের মুখ্য নির্বাহী৷ ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের এই ঋণের অর্থ খরচ করা হবে বাংলাদেশের পরিকাঠামো প্রকল্পে৷ যার মধ্যে আছে, যোগাযোগ ও ট্রানজিট সুবিধা৷ গড়ে তুলতে হবে রেলপথ, রেল ইঞ্জিন, যাত্রিবাহি রেল বগি, বাস এবং নদীবন্দরের জন্য ড্রেজিং মেশিনপত্র সংগ্রহ ইত্যাদি৷ এই সব সরবরাহ করা হবে ভারত থেকে৷ ৬টি শক্তিশালি ড্রেজারের একটি মঙ্গলা বন্দরের জন্য, অন্যগুলি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ কন্টেনার বন্দরের ব্যবহার করা হবে৷ সড়ক পরিবহনের জন্য ৩০০টি ডবল্ ডেকার এবং ৫০টি লাক্সারি বাস কেনা হবে ভারত থেকে৷ রাস্তা তৈরি হবে বাংলাদেশের রামগড় থেকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আখৌড়া পর্যন্ত৷

অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় মিলিত হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী এ.এম.এ মুহিথ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির সঙ্গে৷ নতুনদিল্লির পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন, প্রণব মুখোপাধ্যায়ের এই সফরের অন্যদিকও আছে৷ এ বছরের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নতুনদিল্লি সফরে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বকেয়া ইস্যুগুলির সমাধানসূত্র নিয়ে মনমোহন সিং সরকারের সঙ্গে যে সমঝোতা হয়েছিল, তার রুপায়ন বিলম্বিত হওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের দিক থেকে একটা চাপা ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে৷ বিশেষ করে তিস্তাসহ দুদেশের অভিন্ন নদীগুলির জল বন্টন চুক্তি সম্পর্কে ভারতের তরফে তেমন সাড়া না পেয়ে৷ একই কথা বিতর্কিত টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে, যার সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের স্বার্থ৷ অন্যদিকে শেখ হাসিনা সরকার মনে করে বাংলাদেশ তার প্রতিশ্রুতি পালন করছে৷ ভারত বিরোধি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে৷

Indien Premierminister Manmohan Singh Sheikh Hasina
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নতুনদিল্লি সফরে মনমোহন সিং সরকারের সঙ্গে যে সমঝোতা হয়েছিল, তা এখনও বাস্তবায়িত হয় নিছবি: UNI

এই প্রসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের অধ্যাপক ইমন কল্যান লাহিড়ি ডয়চে ভেলেকে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের এই সফর সম্পর্কে বললেন, শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার পর দুদেশের মধ্যে একটা সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে৷ কিন্তু নদীর জল বন্টন নিয়ে প্রতিশ্রুতি পালনে দেরী হয়েছে ঠিকই, তবে দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি প্রক্রিয়া পরিচালনা করতে বাংলাদেশকে প্রয়োজন৷ ভারতের প্রতিশ্রুতি পালনে আর কতটা সময় লাগতে পারে সেটা তিনি খোলসা করবেন বাংলাদেশ নেতৃত্বের কাছে৷ বাংলাদেশ কিন্তু সন্ত্রাসবাদ বা মাইগ্রেশনের মত সমস্যাগুলির ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছে৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ