1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঢাকায় আঞ্চলিক জলবায়ু সম্মেলন

৩১ মে ২০১০

পল্টনে ১৪৪ ধারা জারি নিয়ে উত্তেজনা, কয়েকটি স্থানে সড়ক দুর্ঘটনা এবং সংঘর্ষে প্রাণহানি এবং আঞ্চলিক জলবায়ু সম্মেলনের খবর ছাড়াও দুই নেত্রীর মামলা-মোকদ্দমার হাল-নাগাদ হিসাব গুরুত্ব পেয়েছে আজকের পত্র-পত্রিকায়৷

https://p.dw.com/p/NdPQ
মামলামুক্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাছবি: AP

ঢাকায় দুইদিন ব্যাপী আঞ্চলিক জলবায়ু সম্মেলন শুরু হলো রবিবার৷ এই সম্মেলন উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন থেকে বাঁচতে ক্ষুদ্র ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে৷ দৈনিক যুগান্তর, সমকাল, জনকণ্ঠ, যায়যায়দিন, ডেইলি স্টারসহ প্রায় সবপত্রিকাতেই গুরুত্বের সাথে জায়গা করে নিয়েছে এই সংবাদটি৷ খবরে বলা হয়েছে, সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা অর্থ ও কারিগরি সহযোগিতা না দেওয়ার জন্য উন্নত বিশ্বের সমালোচনা করেন৷ সম্মেলনে উপস্থিত ইউরোপীয় ইউনিয়নের কমিশনার এ কথা স্বীকার করে বলেন, কার্বন নির্গমন হ্রাসের ক্ষেত্রে সময়ক্ষেপ না করে দ্রুত এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে৷ সম্মেলনে বাংলাদেশসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আফগানিস্তান, মালদ্বীপ, নেপাল, ভুটান, মায়ানমার, কম্বোডিয়া, লাওস ও ইয়েমেনের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন৷ জানা গেছে, ঢাকার সম্মেলনে বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কম্বোডিয়ার মধ্যে যৌথ ঘোষণাপত্র স্বাক্ষরিত হবে৷


মামলামুক্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা বেপজা পরামর্শক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলাও বাতিল করেছেন হাইকোর্ট৷ ফলে সরকার গঠনের সতেরো মাসের মাথায় হাইকোর্ট থেকে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে দায়ের করা নয়টি মামলাসহ ১৫টি দুর্নীতি মামলার দায় থেকে অব্যাহতি পেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ দৈনিক যায়যায়দিন, ইত্তেফাক, কালের কণ্ঠ, নিউ এইজ, সমকালসহ বেশ কয়েকটি পত্রিকার প্রথম পাতায় উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর মামলামুক্ত হওয়ার এই খবর৷ এতে বলা হচ্ছে, সবশেষ রবিবার হাইকোর্ট শেখ হাসিনার বেজপা দুর্নীতি মামলা বাতিল করেন৷ এর মধ্যে হাইকোর্টের দু'টি বেঞ্চ গত তিন মাসে শেখ হাসিনার সাতটি মামলা বাতিল করেছেন৷ এছাড়া জোট সরকারের আমলে দায়ের করা দু'টি মামলা পুলিশ চার্জশিট না দেওয়ায় অকার্যকর হয়ে গেছে৷ পাশাপাশি গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ হত্যার অভিযোগে দায়ের করা ছয়টি মামলার মধ্যে চারটি বাদী ও বর্তমান সরকার প্রত্যাহার করে নেয়৷

রেলওয়ের বছরে লোকসান গড়ে ৫০০ কোটি টাকা

৪০ বছরে জনসংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হলেও রেলওয়ের যাত্রী ও মালামাল পরিবহন কমেছে৷ এর ফলে রেলওয়ে একটি লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে৷ এ বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দৈনিক প্রথম আলো৷ এতে বলা হচ্ছে, বর্তমানে রেলওয়ে বছরে লোকসান গোনে গড়ে ৫০০ কোটি টাকা৷ গত নয় বছরে রেলওয়ে লোকসান দিয়েছে তিন হাজার কোটি টাকার বেশি৷ রেলওয়ের হিসাব অনুযায়ী, ১৯৬৯-৭০ অর্থবছরে রেলওয়েতে যাত্রী পরিবহন হয়েছিল সাত কোটি ২৮ লাখ জন এবং মালামাল পরিবহন হয়েছিল প্রায় ৪৯ লাখ মেট্রিক টন৷ কিন্তু জনসংখ্যা দ্বিগুণ হলেও ২০০৮-০৯ অর্থবছরে রেলওয়ে যাত্রী পরিবহন করে সাড়ে ছয় কোটি জন এবং মালামাল পরিবহন করে ৩০ লাখ টন৷

গ্রন্থনা: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়